ঘরোয়া উপায়ে পেট ব্যথার সমস্যা দূর করা যায়—
আদা চা
পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব কমাতে আদা চা খেতে পারেন। এতে করে আমাদের শরীর থেকে সব রকমের প্রদাহ দূর হয়ে যায়। রান্না করে, কাঁচা কিংবা চায়ের মাধ্যমে আপনি আদা খেতে পারেন।
ক্যামোমিল চা
পেট ব্যথ, বমি বমি ভাব, বদহজম ও ডায়রিয়াসহ এমন অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে ক্যামোমিল। এর ভেষজের গুণ নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব বেশি গবেষণা না হলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই জানা। তাই তো পেট ব্যথায় ক্যামোমিল চায়ের ওপর ভরসা করতে পারেন।
পিপারমেন্ট চা
পেট ব্যথা কমাতে পিপারমেন্ট চা দারুণ কাজ করে। যাদের পেট ব্যথা, ইরিটেবিল বাওয়েল সিন্ড্রোম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও বদহজমের সমস্যা আছে তারা চাইলে পিপারমেন্ট চা খেতে পারেন। এতে অনেকটা উপকার মিলতে পারে।
লেবু চা
পেট ব্যথার সমস্যায় লেবু চা খেতে পারেন। এতে সমস্যা অনেকটা কমে যেতে পারে। তাই ঝটপট লেবু চা বানিয়ে ফেলুন। একই সঙ্গে চায়ের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
লেবু ও পুদিনার রস
লেবুর রসের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মেশান। এরপর তার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ আদার রস ও লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ খেলে পেট ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমবে।
কাঁচাকলা
কাঁচাকলার টোটকা আমাদের অনেকেরই পরিচিত। একটু পেট ব্যথা হলেই কাঁচাকলার রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কাঁচাকলা সিদ্ধ করে খেলে পেট ব্যথা ও পেটের প্রদাহ অনেকটা কমিয়ে দেয়। এতে রয়েছে—ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। এর মিনারেল শরীরের কোনো পেশিতে টান লাগলে বা ব্যথা হলে সেটি কমাতে সাহায্য করে।
দই
পেটের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যে সমস্যা হলে পেট ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক খাবার পেটের ভারসাম্য বজায় রেখে ব্যথা অনেকটা উপশম করতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান
পেট ব্যথার সমস্যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ, বেশি বেশি পানি পান করলে শরীর থেকে অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়।
হাঁটাহাঁটি করা
যদি আপনার নিয়মিত পেট ব্যথা শুরু হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
আজওয়ান
পেটের সমস্যা সমাধানে আজওয়ান খেতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।