প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ৷ আসলে আপনার মাসিক স্রাব বন্ধ হবার পিছনে দুটো কারন রয়েছে ৷
প্রথমত: আপনি সেক্স করার পর থেকেই মাসিক টেনশনে আছেন, চাপে আছেন, ভয়ে আছেন ৷ যার ফলে শারীরবৃত্তিয় কাজ ঠিকমত সম্পাদন না হওয়ায় হরমোন তৈরি ঠিকমতো হচ্ছে না ৷ যার ফলে মাসিক স্রাব পিছিয়ে যাচ্ছে ৷
দ্বিতীয়ত: আপনি নোরিস্ক ট্যাবলেট খেয়েছেন৷ আর এটা খুবই একটা কমন ব্যাপার যে ইমারজেনসি কনট্রাসেপটিভ পিল খেলে হরমোন উৎপাদনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে৷ যার ফলে নারীদের গর্ভের সংগে জড়িত হরমোনের ভারসাম্য কিছুটা নষ্ট হয়ে যায় ৷ ফলে মাসিক স্রাব অনিয়মিত হয়ে যায় বা পিছিয়ে যায় ৷
এবার বলি আপনি গর্ভবতী নন কিনা?
প্রথমত: আপনার যদি নিয়মিতভাবে প্রতি মাসের ৫ তারিখে মাসিক হয় তাহলে গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা নেই৷ কেননা আপনারা সেক্স করেছেন ৮ তারিখ ৷ এসময়টা নিরাপদ সময় হিসেবেই বিবেচিত হয়৷ তাই এসময় গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা নাই যদি আপনার হিসেব ঠিক থাকে৷
দ্বিতীয়ত: আপনার সঙ্গী কনডম ব্যবহার করেছেন ৷ এটাইতো প্রোটেকশন ৷ কিন্তু কনডম ফেটে গেছে ৷ কথা হলো কনডম কোথায় ফেটেছে ? যদি সাইটে ফেটে যায় তাহলে শুক্রাণু বের হবার উপায় তো নেই৷ কেননা বীর্য স্খলন হয়ে জমা হয় একেবারে শেষপ্রান্তে থলিতে৷ আবার ফেটেছে কখন সেটা একটা বিষয় ৷ তাই বীর্য ভিতরে গেছে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়৷
এবার আসি পরীক্ষার কথা নিয়ে ৷ প্রেগন্যানসি টেস্ট করার নিয়ম হলো মাসিকের ডেট মিস হবার দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা করতে হয়৷ সে হিসেবে আপনার এ মাসের ২০ তারিখের পর পরীক্ষা করা উচিৎ ৷ এর আগে পরীক্ষা করলে রেজাল্ট পুরোপুরি সঠিক পাবার সম্ভাবনা খুবই কম ৷ তাছাড়া অনেক সময় কীট গুলো সঠিক রেজাল্ট দেয়না৷ তাই পুরো কনফার্ম হতে গেলে ২ - ৩ দিন পর পূনঃরায় পরীক্ষা করতে হয়৷
যাইহোক- এবার মূল প্রসঙ্গে আসি৷ আপনি ২০ তারিখের পর পূনঃরায় প্রেগন্যানসি টেস্ট করবেন৷ সম্ভব হলে আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখবেন ৷ যদি রেজাল্ট নেগেটিভ হয় তাহলে তো বেঁচে গেলেন ৷ আর যদি পজিটিভ দেখায় তাহলে তো ঝামেলায় পড়ে যাবেন৷ সেক্ষেত্রে কী করতে হবে সেটা না হয় পরের উত্তরে বলা যাবে ৷ ২০ তারিখের পর পুনরায় প্রশ্ন করবেন ৷ ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন৷