ধুমকেতুকে মহাশূন্যের 'ভূত' বলা হয় কারণ এর আচরণ এবং গঠন অনেকটা ভৌতিক বা রহস্যময় বলে মনে হয়। ধুমকেতু সাধারণত একটি বরফ, ধূলি এবং গ্যাসের মিশ্রণ যা মহাশূন্যে চলতে থাকে এবং সূর্যের কাছাকাছি আসলে তাপমাত্রার কারণে এর বরফ গলতে শুরু করে, ফলে একটি উজ্জ্বল লেজ বা ধোঁয়ার কুণ্ডলি তৈরি হয়। এই লেজটি ধুমকেতুর চলাচলের পথের বিপরীতে থাকে এবং এটি অনেক সময় অদৃশ্য বা অস্বাভাবিকভাবে আচরণ করতে পারে, যা একে রহস্যময় বা ভূতের মতো মনে হয়।
অন্যদিকে, ধুমকেতুর আগমন অত্যন্ত বিরল এবং একে বেশ কিছু সময় পর পর দেখা যায়, যা আবার এটিকে 'ভূতের' মতো একটি অদেখা অস্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলে। মহাশূন্যের এই 'ভূত'কে কখনো কখনো বিজ্ঞানীরা এর অতীত বা ভবিষ্যতের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন না, যেমন ভূতগুলোর অবস্থান সম্পর্কে আমাদের কোনো নিশ্চিত ধারণা থাকে না।
সারাংশে, ধুমকেতুকে মহাশূন্যের 'ভূত' বলা হয় তার অদ্ভুত, রহস্যময় আচরণ এবং দৃশ্যমানতার কারণে, যা কিছুটা ভূতের মতো অনুভূত হয়।