আসলে সব ডাক্তারের ক্ষেত্রে কথাটি সত্য নয়৷ তবে হ্যাঁ এটা ঠিক যে কিছু চিকিৎসক এমন করে থাকেন ৷ আবার বাধ্যতামূলক ডেলিভারির জন্য নারীদের কিছু অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং মানসিক ভয়- ভীতি ও দায়ী৷
এবার বলি আসল কথা —
*যদি ডেলিভারির ডেট না আসতেই সিজার করতে বলেন৷
*ডেলিভারির দিন পেট ব্যথা না আসতেই সিজার করতে তাড়াহুড়া করেন৷
*ডেলিভারির ব্যথা উঠেছে কিন্তু জরায়ুর মুখ খোলার সময় না দিয়েই সিজার করতে বলেন৷ জরায়ু মুখ খুলতে ব্যথা উঠার থেকে পর ৫ — ৬ ঘন্টা সময় লাগতে পারে৷
*জরায়ু মুখ খুলেছে এবং রাস্তা প্রসারিত হয়েছে কিন্তু পানি ভাঙেনি এমন অবস্থায় সিজার করতে বলেন৷ কেননা জরায়ু মুখ খোলার পর পানি ভাঙতেও ২ - ৩ সময় লেগে যায়৷
*পানি ভাঙার আধ থেকে একঘন্টা সময় লাগতে পারে জরায়ু ক্রমাগত সংকোচন ও প্রসারনের মাধ্যমে বাচ্চা খালাশ করতে৷ এসময় পেট ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে৷ তাই হয়তো পেট ব্যথার জন্য রোগীর চিৎকার বা আর্তনাদ শুনতে না পেরে অনেকেই সিজার করতে উৎসাহি হয়ে উঠেন৷
*ডেলিভারির ব্যথা উঠার পর থেকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি (৩ টি ধাপ) সম্পন্ন হতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে (দ্বিতীয় বার প্রায় অর্ধেক সময় লাগে)৷ এসময় শুধু অপেক্ষা করতে হয় এছাড়া কারো কিছু করার থাকেনা বললেই চলে ৷ তাই অপেক্ষা না করে সিজার করতে বলেন৷