ডিএনএর ভাঁজ হওয়ার পদ্ধতি খুব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া। কেননা আমাদের দেহের প্রতিটি কোষ প্রায় দুই মিটার ডিএনএ ধারন করে, তাই কোষে আঁটাতে হলে একে শক্তভাবে একটি স্পুলের মতো করে বান্ডিলাকারে ভাঁজ করতে হবে। এই বান্ডিলগুলো নিউক্লিওজোম নামে পরিচিত।
এবং ডিএনএর এই ভাঁজ হওয়ার পদ্ধতির মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয় কোনো একটি কোষে ডিএনএর কোন জিনগুলো ‘পড়া’ হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রোটিন তৈরি হবে। স্পুলের ভিতরের দিকের জিনগুলো পড়তে পারার সুযোগ নেই, কেবল বাইরের দিকের জিনগুলোই পড়া সম্ভব। এ থেকেই বোঝা যায় কেন বিভিন্ন কোষে একই ডিএনএ বিদ্যমান থাকা সত্বেও একেক কোষে একেক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়।