সালাত হচ্ছে একজন মানুষের ইসলাম গ্রহনের পর ইসলাম টিকিয়ে রাখার ১ম শর্ত। অর্থাৎ ঈমান আনার পর সেই ঈমানে অবিচল থাকা প্রধান শর্ত হচ্ছে ১৭ রাকআত সালাত আদায় করা। যদি কেউ তা না করে তবে তার আর ঈমান থাকবে না। সে কাফের হয়ে যাবে। দলীলঃ রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- আমাদের ও কাফেরদের মাঝে চুক্তি হল সালাত। সুতরাং যে ব্যক্তি তা ত্যাগ করবে সে কাফির হয়ে যাবে। ( তিরমিজিঃ ২৬২১, ইবনে মাজাহঃ ১০৭৯) অর্থাৎ ৫ ওয়াক্তে সর্বমোট অন্তত ১৭ রাকআত ফরজ সালাত একজন মানুষকে মুসলিম থাকতে হলে অবশ্যই আদায় করতে হবে। যদি সে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করে সেক্ষেত্রেও তাকে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত সালাত অবশ্যই আদায় করতে হবে। নইলে তার ঈমান আর থাকবে না, সে কাফের হয়ে যাবে। জাবের (রাঃ) বলেন- আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্র বান্দা ও শিরক-কুফরের মধ্যে পার্থক্যকারী হচ্ছে সালাত ত্যাগ করা। [সহিহ মুসলিম, ১ম খন্ড, ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং-১৫৪] অর্থাৎ সালাত ত্যাগ করলেই সে আর মুসলিম থাকবে না সে কাফের, মুশরিকে পরিণত হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- যারা রোজা রাখে কিন্তু নামাজ পড়ে না ইসলামে তাদের বিধান কি? উপরোক্ত হাদিস দ্বারা বুঝা গেল যে, বে-নামাযী মুসলিম নয়। সে কাফের। আর কাফেরদের সিয়ামের কোন মূল্য আল্লাহ্র নিকট নেই। ইয়াহুদি-খ্রিষ্টানরাও সিয়াম পালন করে আবার হিন্দু-মুশরিকরাও না খেয়ে উপবাস পালন করে। ঐ সমস্ত বে-নামাযীর অবস্থাও এই ধরনের কাফের মুশরিকদের ন্যায়।। যেমন আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- সূর্যাস্ত হয়ে গেলেও ইফতার না করে বসে বসে অন্ধকার করা ইহুদী ও নাসারাদের কাজ। (আবূ দাঊদ ২২৫৩, ইবনু মাজাহ ১৬৯৮) এই হাদিস প্রমান করে যে, ইয়াহুদি-খ্রিষ্টানরাও সিয়াম পালন করে কিন্তু কাফেরদের সিয়ামের কোন মূল্য আল্লাহ্র নিকট নেই।