কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বুঝা যায় যে, পীর বা মাজারে যে কোনো ধরনে সেজদা করা হারাম। কোনোভাবেই তা বৈধ নয়। এসব কাজকে স্পষ্ট ভাষায় হারাম ও নাজায়েয।
কেননা সেজদার উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ তাআলা। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা সম্পূর্ণ হারাম। আর ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সেজদা করলে সে মুশরিক হয়ে যাবে। আর গাইরুল্লাহকে সেজদা করা কুরআন-হাদিসে অকাট্য হারাম প্রমাণিত।
সহিহ মুসলিমের এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কতক উম্মত নিজ নবী ও বুর্জুদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে। সাবধান! তোমরা কবরকে সিজদার স্থান বানাবে না। আমি তোমাদেরকে এ কাজ করতে নিষেধ করছি। (সহিহ মুসলিম: ১/২০১)।
সুতরাং মাজারে নামাজ পড়া বা মানত করা ঠিক নয়। এছাড়াও ভাই মনে করে ইদানিং অনেক বিপদ আপদ আসছে যদি মাজারে গিয়ে নামাজ পড়ে তাহলে এগুলো কমবে। এ বিশ্বাস শিরকে আকবার।
আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে ভাগ্য সুপ্রশস্তকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা ঠিক নয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং শিরক করা থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। শিরককারী জন্য রয়েছে ভয়াবহ পরিণতি।