সুমহান প্রতিশোধ’ বলতে জয়ীর আসনে বসে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শত্রুদের ক্ষমা করার দিকটিকে বোঝানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মানুষ মুহাম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে হজরত ছিলেন মানুষের নবী। তাই মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তারই আদর্শ তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তায়েফে সত্য প্রচারে গিয়ে তিনি শত্রুর অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছেন, মক্কাবাসীরাও নবুয়ত লাভের শুরু থেকে তাঁর ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছে। সেই অত্যাচার সহনাতীত হলে তিনি মদিনায় চলে যান। পথেও শত্রুরা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। প্রতি পদে শত্রুরা তাঁকে লাঞ্ছনা করার চেষ্টা করলেও হজরত যেদিন বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রবেশ করেন, সেদিন জয়ীর আসনে বসে ন্যায়ের তুলাদণ্ড হাতে নিয়ে তাদের তিনি ক্ষমা করে দেন। অপরাধীদের প্রতি এভাবে ক্ষমা প্রদর্শন করাকেই সুমহান প্রতিশোধ বলা হয়েছে, যা সম্ভব হয়েছিল তাঁর বিরাট মনুষ্যত্বের কারণে।