গ্রামীণ ডিজুস সিম (Grameenphone DGUS SIM) বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণটি গ্রামীণফোনের ডিজিটাল সেবা থেকে প্রাথমিকভাবে বের হয়ে আসা এবং গ্রামীণফোনের ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন হতে পারে। এটি এমন একটি সিম ছিল যা মূলত ডিজিটাল সেবা ও ইন্টারনেট ব্যবহার এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল, বিশেষ করে যাদের ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা ব্যবহার বেশি ছিল। তবে ২০১৯ সালে গ্রামীণফোন তাদের ডিজুস সিম এবং এটির সার্ভিসগুলি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এর কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ হলো:
১. ব্যবসায়িক কৌশলের পরিবর্তন:
গ্রামীণফোন তাদের ব্যবসার কৌশলে পরিবর্তন এনে অন্য ধরনের পরিষেবা বা প্ল্যানগুলোতে মনোযোগ দিয়েছে। ডিজুস সিম ছিল একটি নির্দিষ্ট ধরনের সেবা, কিন্তু গ্রামীণফোন এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আরও বড় পরিসরে সেবা প্রদান করতে আগ্রহী, যেমন গ্রামীণফোন ইন্টারনেট প্ল্যান এবং অনলাইন সেবা।
২. ডিজিটাল সেবার ইন্টিগ্রেশন:
গ্রামীণফোন তাদের ডিজিটাল সেবা একত্রিত করতে এবং ব্যবহারকারীদের আরও সহজে সেবা প্রদান করতে কিছু সেবা পুনর্গঠন বা বদল করেছে। ডিজুস সিমটি নিজে একটি বিশেষ প্ল্যান ছিল, তবে এখন গ্রামীণফোনের অন্যান্য প্ল্যানের মধ্যে ডিজিটাল সেবাগুলির অন্তর্ভুক্তি বেশি গুরুত্ব পায়।
৩. কম ব্যবহারের হার:
ডিজুস সিমের মাধ্যমে প্রদান করা সেবা সম্ভবত গ্রামীণফোনের বাজারে প্রত্যাশিত ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। সিমটির জন্য গ্রাহক সংখ্যা কম হওয়ায় গ্রামীণফোন সম্ভবত এই পরিষেবাটির বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৪. প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং পরিবর্তন:
মোবাইল নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি, যেমন 4G বা 5G-এর সম্প্রসারণ এবং পরিবর্তনের ফলে পুরোনো সিম প্রযুক্তি বা সেবা পুরনো হয়ে যেতে পারে। এটি ডিজুস সিমের বন্ধ হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে, যেখানে গ্রামীণফোন নতুন সেবা বা প্যাকেজের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
উপসংহার:
গ্রামীণ ডিজুস সিমের বন্ধ হওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন, ডিজিটাল সেবার একত্রিতকরণ, এবং কম ব্যবহারের হার অন্যতম। গ্রামীণফোন হয়তো অন্য সেবা এবং প্ল্যানগুলোতে আরও মনোযোগ দিয়েছে, যাতে তারা বাজারের চাহিদা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে চলতে পারে।