মোবাইলে ব্লুটুথ হেডফোন কানেক্ট করার পর ওয়াইফাই স্পিড কমে যাওয়ার কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে। এটি মূলত ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই প্রযুক্তির মধ্যে ব্যবহৃত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) ব্যাঘাতের কারণে ঘটে।
কারণ:
1. রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইন্টারফেরেন্স (RFI): ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই উভয়ই ২.৪ GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করে। যখন আপনি ব্লুটুথ হেডফোন কানেক্ট করেন, তখন ব্লুটুথ ডিভাইস ২.৪ GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে, যা ওয়াইফাই সিগন্যালের সাথেও পরস্পর সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে পারে। এই সংঘর্ষের ফলে ওয়াইফাই সিগন্যাল দুর্বল হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়।
2. স্পেকট্রাম শেয়ারিং: ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই যখন একই ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জে কাজ করে, তখন এটি একে অপরের সিগন্যালকে বিঘ্নিত করতে পারে, বিশেষত যদি একই সময়ে একাধিক ডিভাইস কানেক্ট করা থাকে। এটি ওয়াইফাই সিগন্যালের মানকে প্রভাবিত করতে পারে, ফলে স্পিড কমে যায়।
3. ক্লোজ প্রোক্সিমিটি: যদি ব্লুটুথ হেডফোন এবং রাউটার একে অপরের কাছে থাকে, তবে সিগন্যালের হস্তক্ষেপ আরও বাড়তে পারে। এই কারণে আপনার মোবাইলের ওয়াইফাই সিগন্যাল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়।
সমাধান:
1. ৫ GHz ওয়াইফাই ব্যবহার করুন: যদি আপনার রাউটার ৫ GHz ব্যান্ড সাপোর্ট করে, তবে এটি ব্লুটুথের জন্য ২.৪ GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে হস্তক্ষেপ কমাতে সহায়তা করবে।
2. রাউটার এবং ব্লুটুথ ডিভাইসের অবস্থান পরিবর্তন: রাউটার এবং ব্লুটুথ ডিভাইসের মধ্যে কিছু দূরত্ব বজায় রাখুন, যাতে সিগন্যাল হস্তক্ষেপ কম হয়।
3. ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই ডিভাইসের সেটিংস আপডেট করুন: আপনার ডিভাইসের সফটওয়্যার এবং ড্রাইভার আপডেট রাখা ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই ব্যবহারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এইভাবে আপনি ব্লুটুথ হেডফোন এবং ওয়াইফাই এর মধ্যে পারস্পরিক হস্তক্ষেপ কমাতে পারেন এবং ওয়াইফাই স্পিড উন্নত করতে পারেন।