771 বার দেখা হয়েছে
"প্রাক-প্রাথমিক" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
রসায়ন বিষয়ে ভালো করার একমাত্র উপায় হল ঐ বিষয়ের ব্যাসিক ভালোভাবে বুঝা, জানা। যেহেতু আপনি বিশেষ করে এইচএসসি এবং পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তাই আমি যেমন করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তেমন করেই বলব।

প্রথমত, যে অধ্যায় পড়বেন, তাতে কি কি টপিকস আছে তা একটি খাতায় লিখে নিবেন। এতে ঐ অধ্যায় সম্পর্কে আপনার একটা ধারণা হয়ে যাবে। এরপর একেকটি টপিকে যে সূত্রগুলো আছে তা স্রেফ লিখে নিবেন, এখনই মুখস্থ করতে যাবেন না ।
0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

‘পদার্থের গঠন’ অধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়ে বিভিন্ন মৌলের প্রতীক, পারমাণবিক ভর ইত্যাদি উল্লেখ করা আছে। এগুলো আত্মস্থ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাসায়নিক সমীকরণ ও গাণিতিক রসায়ন সমাধানে কাজে লাগবে। প্রথমে পর্যায় সারণির প্রথম ৩৬টি মৌল মুখস্ত করে নিতে হবে, এরপর মৌলের পারমাণবিক ভয় নির্ণয়ের অংকগুলো। বইয়ের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ও আনবিক ভর নির্ণয়ের নিয়ম রপ্ত করতে হবে। 


‘পর্যায় সারণি’ অধ্যায় হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মৌলের আকার পরিবর্তনের কারণ, পর্যায় ও গ্রুপ সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি বিষয়ে এ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। রসায়ন বিষয়ে ভালো করতে হলে পর্যায় সারণি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানের বিকল্প নেই৷ 

 ‘মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা’ ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারের গাণিতিক রসায়নের সমস্যা পরীক্ষায় আসে। এ সমস্যাগুলো সুন্দরভাবে সমাধানের জন্য ‘রাসায়নিক বন্ধন’ অধ্যায়টি ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে। যোজ্যতা, যোজনী, অ্যানায়ন, ক্যাটায়ন ও বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে৷

 মোলের ধারণা, বিক্রিয়ার সমতাকরণ ও রাসায়নিক গণনা সম্পর্কে পড়লেই হবে না, বরং বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে সমাধানের দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে। 

রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের শর্ত, নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে ‘রাসায়নিক বিক্রিয়া’ অধ্যায়টি ভালো ভাবে পড়তে হবে। প্রয়োজনে খাতায় লিখে লিখে পড়তে হবে। মুখস্থ করার দরকার নেই। কয়েকবার চর্চা করলেই বুঝতে পারা যায় কোন কোন বিক্রিয়কের বিক্রিয়ায় কী কী উৎপাদ তৈরি হয়। 

‘রসায়ন ও শক্তি’ অধ্যায়ে রয়েছে রাসায়নিক সমীকরণ ও গাণিতিক রসায়নের সমন্বয়। এই অধ্যায়গুলো ভালো করে বুঝতে হবে। এ অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো উত্তর করলে পরিপূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়।

 ‘এসিড-ক্ষার ক্ষমতা’ অধ্যায়ে প্রথমেই পড়ো ধাতুর সক্রিয়তা। এরপর ‘খনিজসম্পদ: ধাতু-অধাতু’ অধ্যায়টি পড়তে হবে। এই দুই অধ্যায়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার বিক্রিয়াগুলোতে।

 ‘খনিজসম্পদ : জীবাশ্ম’ অধ্যায়টি একেবারে নতুন। এটি ধারাবাহিকতা মেনে পড়তে হবে । অর্থাৎ জৈব যৌগ শনাক্ত না করেই পলিমারকরণ বিক্রিয়া পড়তে শুরু করলে কিছুই বুঝা সম্ভব না।

 ‘আমাদের জীবনে রসায়ন’ সর্বশেষ অধ্যায়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবহেলা করার সুযোগ নেই। রসায়ন বিষয়ে ভালো করার শর্ত হলো ভয় না করে বেশি বেশি অনুশীলন করা। কিন্তু ভুলেও রসায়ন না বুঝে মুখস্থ করা যাবে না। বুঝে পড়লে এবং নিয়মিত অনুশীলন করলে রসায়নে ভালো করা খুবই সহজ।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
31 অক্টোবর, 2023 "মোবাইল" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Limon54
2 টি উত্তর
3 টি উত্তর
6 মে, 2021 "পড়াশোনা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Musfiqur Rahman
1 টি উত্তর
2 টি উত্তর
2 টি উত্তর
1 টি উত্তর
20 মার্চ, 2019 "রোগ ও চিকিৎসা" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন ফারাবি
2 টি উত্তর

36,285 টি প্রশ্ন

35,495 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,816 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
32 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 32 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 44749
গতকাল ভিজিট : 31276
সর্বমোট ভিজিট : 53580754
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...