‘পদার্থের গঠন’ অধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়ে বিভিন্ন মৌলের প্রতীক, পারমাণবিক ভর ইত্যাদি উল্লেখ করা আছে। এগুলো আত্মস্থ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাসায়নিক সমীকরণ ও গাণিতিক রসায়ন সমাধানে কাজে লাগবে। প্রথমে পর্যায় সারণির প্রথম ৩৬টি মৌল মুখস্ত করে নিতে হবে, এরপর মৌলের পারমাণবিক ভয় নির্ণয়ের অংকগুলো। বইয়ের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ও আনবিক ভর নির্ণয়ের নিয়ম রপ্ত করতে হবে।
‘পর্যায় সারণি’ অধ্যায় হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মৌলের আকার পরিবর্তনের কারণ, পর্যায় ও গ্রুপ সংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি বিষয়ে এ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। রসায়ন বিষয়ে ভালো করতে হলে পর্যায় সারণি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানের বিকল্প নেই৷
‘মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা’ ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারের গাণিতিক রসায়নের সমস্যা পরীক্ষায় আসে। এ সমস্যাগুলো সুন্দরভাবে সমাধানের জন্য ‘রাসায়নিক বন্ধন’ অধ্যায়টি ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে। যোজ্যতা, যোজনী, অ্যানায়ন, ক্যাটায়ন ও বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে৷
মোলের ধারণা, বিক্রিয়ার সমতাকরণ ও রাসায়নিক গণনা সম্পর্কে পড়লেই হবে না, বরং বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে সমাধানের দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে।
রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের শর্ত, নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে ‘রাসায়নিক বিক্রিয়া’ অধ্যায়টি ভালো ভাবে পড়তে হবে। প্রয়োজনে খাতায় লিখে লিখে পড়তে হবে। মুখস্থ করার দরকার নেই। কয়েকবার চর্চা করলেই বুঝতে পারা যায় কোন কোন বিক্রিয়কের বিক্রিয়ায় কী কী উৎপাদ তৈরি হয়।
‘রসায়ন ও শক্তি’ অধ্যায়ে রয়েছে রাসায়নিক সমীকরণ ও গাণিতিক রসায়নের সমন্বয়। এই অধ্যায়গুলো ভালো করে বুঝতে হবে। এ অধ্যায়ের প্রশ্নগুলো উত্তর করলে পরিপূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়।
‘এসিড-ক্ষার ক্ষমতা’ অধ্যায়ে প্রথমেই পড়ো ধাতুর সক্রিয়তা। এরপর ‘খনিজসম্পদ: ধাতু-অধাতু’ অধ্যায়টি পড়তে হবে। এই দুই অধ্যায়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার বিক্রিয়াগুলোতে।
‘খনিজসম্পদ : জীবাশ্ম’ অধ্যায়টি একেবারে নতুন। এটি ধারাবাহিকতা মেনে পড়তে হবে । অর্থাৎ জৈব যৌগ শনাক্ত না করেই পলিমারকরণ বিক্রিয়া পড়তে শুরু করলে কিছুই বুঝা সম্ভব না।
‘আমাদের জীবনে রসায়ন’ সর্বশেষ অধ্যায়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবহেলা করার সুযোগ নেই। রসায়ন বিষয়ে ভালো করার শর্ত হলো ভয় না করে বেশি বেশি অনুশীলন করা। কিন্তু ভুলেও রসায়ন না বুঝে মুখস্থ করা যাবে না। বুঝে পড়লে এবং নিয়মিত অনুশীলন করলে রসায়নে ভালো করা খুবই সহজ।