অমুসলিমদেরকে সাধারণ দান সাদকার ব্যাপারে কোরআনে নির্দেশ: আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে বলেছেন, যেসব অমুসলিম তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে না এবং তোমাদেরকে বাড়িঘর থেকে বের করে দেয় না তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করেনি। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা: মুমতাহিনা, আয়াত নম্বর: ৮)।
উপরোক্ত আয়াতের আলোকে ফকিহরা বলেন, নফল দান-সদকা অমুসলিমকে দেয়া যাবে। (দরসে তিরমিজি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৪৩৪)।
ফিতরা দেয়ার বিধান: গরিব অমুসলিমকে ফিতরা দিয়ে সাহায্য করা যাবে এতে কোনো অসুবিধা নেই। যদিও উত্তম হচ্ছে মুসলমানকে দেয়া।
অতএবঃ ফিতরার দ্রব্য বা টাকা ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে দান করা যাবে।
প্রথমতঃ সে কাফির যে ইসলামের প্রতি অনুরাগী হয়। এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করলে আশা করা যায় যে, সে ইসলাম কবূল করবে।
দ্বিতীয়তঃ সে সকল নওমুসলিম যাকে ইসলামে দৃঢ় থাকার জন্য সাহায্য করা হয়।
তৃতীয়তঃ সে লোকও এতে শামিল যাকে সাহায্য করলে আশা করা যায় যে, সে নিজের এলাকার লোকেদেরকে মুসলিমদের ওপর হামলা করা থেকে বিরত রাখবে এবং অনুরূপভাবে সে নিজের নিকটতম মুসলিমদেরকে রক্ষা করবে।
সুতরাং কাউকে এই কারণে দেয়া হয় যে, এর ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাফওয়ান ইবনে উমাইয়াকে হুনায়েনের যুদ্ধে প্রাপ্ত গনীমতের মাল থেকে প্রদান করেছিলেন। অথচ ঐ সময় সে কুফরী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে বের হয়েছিল। সে নিজেই বর্ণনা করেছেঃ “তাঁর দান ও সুবিচার আমার অন্তরে সবচেয়ে বেশী তাঁর প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি করেছিল। অথচ ইতিপূর্বে তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু আমিই ছিলাম।
আবার কাউকে এ জন্যে দেয়া হয় যে, এর ফলে তার ইসলামের উপর তার মন বসে যাবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (সঃ) হুনায়েনের যুদ্ধে প্রাপ্ত গনীমতের মাল থেকে মক্কার আযাদকৃত লোকদের সর্দারদেরকে শত শত উট দান করেছিলেন।