যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে বলবে- ﻭَ ﺍَﻧَﺎ ﺍَﺷْﻬَﺪُ ﺍَﻥْ ﻟَﺎ ﺍِﻟﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ– ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳْﻚَ ﻟَﻪُ–ﻭَ ﺍَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَ ﺭَﺳُﻮْﻟُﻪُ– ﺭَﺿِﻴْﺖُ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﺭَﺑًّﺎ-ﻭَ ﺑِﺎﻟْﺎِﺳْﻠَﺎﻡِ ﺩِﻳْﻨَﺎ–ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮْﻟَﺎ উচ্চারণ : ওয়া আনা আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু, রাদিতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামি দিনান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসুলান’ আল্লাহ তাআলা তার গোনাহ মাফ করে দেন।’ (তিরমিজি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ) অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজানের পর প্রচলিত দোয়াটি পাঠ করবে, তার জন্য প্রিয়নবি শাফায়াত করবে। অথচ আমাদের অনেকেই আজান শুনে ঠিকই; অলসত বা খেয়ালের ভুলে উত্তর দেয়া যেমন বিরত থাকে; তেমনি দরূদ ও দোয়া পড়া থেকেও বিরত থাকে। আরও পড়ুন > আমল কবুল হওয়ার ৪টি শর্ত হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনে বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শুনে বলে- ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ–ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔ– ﺍﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪَﺍﻥِ ﺍﻟْﻮَﺍﺳِﻠَﺔَ ﻭَ ﺍﻟْﻔَﻀِﻴْﻠَﺔَ–ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣًﺎ ﻣَّﺤْﻤُﻮْﺩَﺍﻥِ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়া আদ্তাহ’ তার জন্য কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত ওয়াজিব হবে।’ (তিরমিজি, বুখারি, ইবনে মাজাহ) এ আমলটিও মুসলিম উম্মাহর জন্য সহজ।