এর প্রধান কারণ হল, বিকেলের বাতাসে ধূলিকণা ও অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ থাকে বেশি এবং সকালের বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ থাকে অপেক্ষাকৃত কম। আসলে রাত গভীর হলে পরিবেশ আস্তে আস্তে শীতল হয় আর এই শীতল পরিবেশে বাতাসে ভাসমান ধুলিকণা ও অন্যান্য উপাদান থিতিয়ে নিচে নামতে থাকে। ফলে সকালের পরিবেশ হয় নির্মল ও পরিচ্ছন্ন। এই নির্মল বাতাসে সূর্য রশ্মির বিচ্ছুরণ অপেক্ষাকৃত কম ঘটে বলে সকালের লাল রং কিছুটা হালকা দেখায়। অন্যদিকে, সূর্যোদয়ের পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের প্রখর আলো ও মানুষের কর্মচাঞ্চল্যের কারণে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য উপাদানও চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সূর্যাস্তের সময় সূর্যরশ্মি বায়ুমন্ডলে বেশি বিচ্ছুরিত হয়। ফলে লাল আলো বেশি পরিমাণে আমাদের চোখ অব্দি পৌঁছাতে পারে তাই পশ্চিম আকাশকে সকালের পূর্ব আকাশের চেয়ে বেশি লাল লাগে।