এই প্রথা অনুসারে স্বেচ্ছায় স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রী তার সঙ্গে এক চিতায় পুড়ে আত্মাহুতি দেয়। পৌরাণিক কাহিনীতে এমন লক্ষ্য করা যায় এটা আদৌ স্বেচ্ছায় হচ্ছে না বরং জোর করে তা করা হচ্ছে ৷ বিশেষ করে কোনও ধনী লোকের মৃত্যু হলে তাঁর সম্পত্তির দখল নিতেই তার আত্মীয়রা তার সদ্যবিধবা স্ত্রীকে জোর করে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারত ৷ সতী করার জন্য তখন জোর করে বিধবাকে চিতায় তোলার সময় তার কান্নার আওয়াজকে চাপা দিতে ঢাক-ঢোলের পিটিয়ে কাসড় ঘন্টার আওয়াজ তোয়াজ ৷ তা দেখেই রামমোহন রায় এই প্রথা বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নেন৷