প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী আমরা অনেকেই মনে করি যে, বেশি বেশি পড়লেই ফল ভালো হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পড়াশোনায় কঠোর পরিশ্রম করার চেয়ে সময়মত সঠিক নিয়ম অনুযায়ী সমাজে পড়াশোনা করলে অনেক বেশি ভালো ফল অর্জন করা সম্ভব। দৈনন্দিন পড়াশোনা পদ্ধতিতে ছোট্ট ছোট্ট কিছু পরিবর্তন জাদুকরী ভূমিকা রাখে। পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করার পেছনের মূলমন্ত্রগুলো কী কী দেখা যাক।
একনাগাড়ে অনেকক্ষণ নয় বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা টানা ২৫-৩০ মিনিট পরিশ্রমের পর হ্রাস পেতে শুরু করে। সুতরাং, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে পড়ে থাকার অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। পড়ার সময়টুকু ছোট ছোট ভাগে আলাদা করে সাজিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকটা ভাগ শেষ হওয়ার পর পাঁচ মিনিট ব্রেক নিতে হবে। এই সময়টুকু যা করতে ভাল লাগে (কিছু খাওয়া, গান শোনা, ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে আসা) এই সময়টুকুতে করবেন। তারপর সতেজ মনে আবার পড়াশোনা করতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। মুখস্থ নয়, বুঝে পড়া ছোটবেলা থেকে আমাদের ছড়া, কবিতা প্রভৃতি দাঁড়ি কমাসহ মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লেখা হত। এইভাবে লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে গেছে যে সবকিছু মুখস্থ করে ফেলার। এটি খুব ভুল একটি পদ্ধতি।