আমাদের চামড়ায় রয়েছে সিবেসিয়াস গ্রন্থি নামক এক ধরনের গ্রন্থি, যা থেকে গরমের সময় এক রকম তেল জাতীয় পদার্থ বেরিয়ে এসে ঘামের সাথে মিশে গোটা চামড়ায় ছড়িয়ে যায় । এর ফলে গ্রীস্মকালে চামড়া ফাটে না ।
কিন্তু শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবার ফলে আমাদের ঘাম কম হয় । তাছাড়া চারপাশটা ঠাণ্ডা থাকে বলে শরীরের তাপমোচনের জন্য ঘামের বিশেষ দরকার হয় না ।
আর এজন্য সিবেসিয়াস গ্রন্থি (Sebaceous Gland) থেকে বেরিয়ে আসা তেলতেলে পদার্থ শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না । ফলে শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যায় ।
শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় ঠোঁটের চামড়া পাতলা । তাছাড়া ঠোঁট দুটো নাকের ফুটোর ঠিক নিচে থাকার জন্য নিঃশ্বাসের সাথে বের হয়ে আসা গরম বাতাস ঠোঁট দুটোকে আরও শুকিয়ে দেয় । এই কারণেই শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় শীতকালে ঠোঁট বেশি ফাটে।