শুষ্ক কৃষির বৈশিষ্ট্য:
১। ভৌগোলিক পরিবেশ: এই ধরনের কৃষি স্বল্প বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চল অর্থাৎ খরাপ্রবণ অঞ্চলে প্রচলিত। যেসব অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 50 সেমির নীচে, সেই অঞ্চলগুলিতে এই পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা হয়।
২। কর্ষণ পদ্ধতি: এই কৃষি পদ্ধতিতে জমিকে গভীরভাবে কর্ষণ করা হয়, যাতে মৃত্তিকার অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাতের জল প্রবেশ করতে পারে।
৩। খরা সহনশীল বীজ: এই কৃষি ব্যবস্থায় বিভিন্ন খরা সহনশীল ফসল চাষ করা হয়। এই কৃষির প্রধান ফসল হল জোয়ার, বাজরা, রাগি ইত্যাদি মিলেটস জাতীয় ফসল।
৪। খাল খনন: কৃষিজমির চারপাশে খাল খনন করা হয়, যাতে বৃষ্টির জল সেখানে সঞ্চিত হতে পারে ।
৫। শুষ্ক ধূলির আবরণ: চাষের জমি তৈরি করার পর খরা সহনশীল বীজ বপন করে জমিটিকে শুষ্ক দ্বারা আবৃত করা হয়, যাতে মৃত্তিকায় সঞ্চিত জল সম্পূর্ণরূপে ফসল উৎপাদনে কাজে লাগে।
৬। আগাছা দমন: এই কৃষিতে চাষের জমি বারবার নিড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়, যাতে মৃত্তিকায় সঞ্চিত জল আগাছার পুষ্টিতে না আসে।