গর্ভ সঞ্চারের লক্ষণঃ-
১/ স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের পরে সামনের মাসে যদি হায়েয বা মাসিক ঋতুস্রাব না হয়, তখন বুঝতে হবে যে, তার পেটে গর্ভ সঞ্চার হয়েছে। এটাই গর্ভ সঞ্চার অনুভব করার প্রথম ও প্রধাণ লক্ষণ।
অবশ্য জরায়ুর কোনো রোগ-ব্যাধির কারণেও কিছু দিনের জন্য মাসিক বন্ধ থাকতে পারে। তবে অন্যান্য কতগুলো লক্ষণ আছে, যার দ্বারা গর্ভ সঞ্চার হয়েছে কিনা তা বুঝা যায় ।
২/ গর্ভ সঞ্চারের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে, মেয়েদের বমি বমি ভাব হওয়া। কিছু আহার করলেই বমির ভাব হওয়া। তবে এই বমি বমি ভাবও যে গর্ভ সঞ্চারের নিশ্চিত লক্ষণ এটা পুরাপুরি বুঝা যায় না। অন্য কোনো কারণেও বমির ভাব হতে পারে। আবার অনেক মেয়েলোকের বমির ভাব আদৌ হয় না।
৩/ গর্ভ সঞ্চারের তৃতীয় লক্ষণ হচ্ছে, স্তনদ্বয় স্ফীত হয়ে তার পরিসর বৃদ্ধি হতে থাকে এবং একটু শির শির ভাব অনুভব করে থাকে। স্তনদ্বয়ের বোটার চতুর্দিকে পিঙ্গল বর্ণের গোলাকার দাগগুলো কাল রং ধারণ করে।
৪/ গর্ভ সঞ্চারের আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হচ্ছে, গর্ভ সঞ্চারের চতুর্থ মাসের প্রথম দিকে স্তনদ্বয় টিপলে তার বোটা দিয়ে এক প্রকার সাদা রস বের হয়ে থাকে।
৫/ গর্ভের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে, স্ত্রীলোকের ঘন ঘন পেশাবের বেগ হয়। এই অবস্থায় জরায়ু বড় হয়ে মূত্রাশয়ের উপর চাপ পড়ে থাকে, যার কারণে গর্ভবতীর ঘন ঘন পেশাবের বেগ হয়ে থাকে।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো যদিও গর্ভসঞ্চারের নির্ভুল লক্ষণ তবুও সাত আট সপ্তাহের ভিতরে তা সঠিকভাবে বুঝা মুস্কিল হয়ে পড়ে। তবে তিন মাসের ভিতরে গর্ভের সবগুলো লক্ষণ প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে। তখন গর্ভবতী মেয়েলোক নিজেকে আর লুকিয়ে রাখতে পারে না। সকলেই বাহির দৃষ্টি দ্বারা দেখে বুঝতে পারে। যেমন-গর্ভবতীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, মুখের রুচি কমে যায়, পেট ভরে আহার করতে পারে না। তলপেট ক্রমান্বয়ে ভারী হয়ে উঁচু হতে থাকে, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়, গর্ভস্থ সন্তানের ওজনের কারণে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়। তখন গর্ভবতীকে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।