অজু ও গোসল উভয়ের জন্যই তায়াম্মুম জায়েজ। এমনকি সহবাসের পরও তায়াম্মুম করা জায়েয।
তবে তায়াম্মুম জায়েজ হওয়ার শর্তগুলো পাওয়া যেতে হবে।
তায়াম্মুম জায়েজ হওয়ার শর্তঃ-
যখন পানি পাওয়া না যায় কিংবা পানি ব্যবহার করার দ্বারা অসুস্থ হয়ে পড়ার অথবা রোগ বেড়ে যাবার আশংকা হয়, তখন তায়াম্মুম করা জায়েজ।
নিম্নোক্ত অবস্থাগুলো পানি না পওয়ার হুকুমের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবেঃ-
যখন পানি এক মাইল দূরে হবে কিংবা কোন শত্রুর ভয়ের দরুন পানি সংগ্রহ করতে পারে না। যেমন- বাড়ির বাইরে কূপ রয়েছে, কিন্তু বাড়ি থেকে বের হলে শত্রু কিংবা চোর-ডাকাতরা মেরে ফেলবে অথবা কূপের কাছে বড় বড় বিষধর সাপ ঘোরা-ফেরা করছে বা বাঘ দাঁড়িয়ে আছে কিংবা নিজের কাছে সামান্য পানি মজুদ আছে, কিন্তু ভয় আছে যে, তা অজুতে ব্যয় করে ফেললে তখন তৃষ্ণায় কষ্ট হবে অথবা কূপ মওজুদ রয়েছে, কিন্তু (পানি তোলার মতো) দড়ি-বালতি উপস্থিত নেই অথবা পানি বিদ্যমান আছে, কিন্তু লোকটি উঠে গিয়ে তা আনতে পারছে না এবং অন্য কোন লোকও নেই যে, তাকে পানি এনে দেবে- এসব অবস্থা পানি না পাওয়ার হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।
অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় যখন গ্রহণযোগ্য হবেঃ-
যখন নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতায় প্রবল ধারণা জন্মায় অথবা কোন বিজ্ঞ হাকিম বা চিকিৎসকের বলার দ্বারা জানা যায় যে, পানি ব্যবহার করলে অসুস্থ হয়ে পড়বে, তখন তায়াম্মুম করা জায়েজ।
পানি এক মাইল দূরে হওয়ার দ্বারা যা উদ্দেশ্যঃ-
মানুষ যখন এমন কোনো জায়গায় অবস্থান করে যেখানে পানি নেই, কিন্তু তাকে কারো বলে দেওয়ার দ্বারা অথবা নিজের বুদ্ধিতে এ বিষয়ে প্রবল ধারণা হয় যে, পানি এক মাইলের ভিতরেই রয়েছে, তখন পানি এনে ওযু করা জরুরী। কিন্তু যখন বলার মতও কেউ না থাকে এবং কোন উপায়েই পানির সন্ধান পাওয়া না যায় অথবা পানির সন্ধান পেলেও তা এক মাইল কিংবা তার চেয়েও দূরে হয়, তখন পানি বয়ে আনা জরুরী নয়, তায়াম্মুম করে নেওয়া জায়েজ।
এই অবস্থাগুলো যদি পাওয়া যায় তবে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম জায়েজ, তখন তায়াম্মুম করে নিবেন। আর এই অবস্থাগুলো যদি পাওয়া না যায়, তবে গোসলের পরিবর্তে নয় শুধু, অজুর পরিবর্তেও তায়াম্মুম করা জায়েজ নয়।