রামাদানে ডায়াবেটিক রোগীরা কি করবেন,,,,,,,,
সুরা বাকারাহ তে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যারা রামাদান মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে। শিশু, নাবালক, বয়স্ক, অসুস্থ ও যাদের জন্য খুবই কস্ট হয়ে যায় (প্রেগন্যান্ট, ল্যাক্টেশন, পিরিয়ড মেয়েদের) ও সফরে তা শিথীল করা হয়েছে৷ পরে ১ টা রোজার বদলে ১ টা বা তার পরিবর্তে ১ জন মানুষকে ৩ বেলা পেট ভরে খাবার খাওয়ানোর বিধান দিয়েছেন।
ডায়াবেটিস টাইপ ১ এ কিটো এসিডোসিস হয়, তাই তাদের জন্য ফরজ নয়, টাইপ ২ তে যারা মুখে মেডিসিন খান ২ বেলা, বা ইন্সুলিন নেন ২/৩ বার তাদেরকে নিচের নিয়ম গুলি পালন করতে হবে.
১) রামাদানের ২ মাস আগে ডাক্তার দেখান, উনি কিছু পরীক্ষা দিবেন, HbA1C , RBS ইত্যাদি করে, উনি আপনার জন্য যেই মেডিসিন প্রেস্ক্রাইব করে দিবেন, সেই ভাবে নিবেন।
২) রামাদানের আগে শাবান মাসে কয়েকটি রোজা রেখে দেখতে পারেন, আপনার কেমন লাগে, অসুবিধা হলে ডাক্তারকে জানান যেন রামাদানে আপনি সিয়াম পালন করতে পারেন।
৩) প্রথম দিকে হুট করে খাবার, পানীয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, প্রচন্ড মাথা ব্যথা, দুরবল লাগা, ইত্যাদি তাই বিকেলে হাইপো হয়ে যেতে পারে৷ তখন গ্লুকোমিটারে সুগার চেক করবেন। প্রথম দিকে ইফতার, রাতের খাবার এর ২ ঘন্টা পর সুগার চেক করবেন।
৪) যদি আপনার ঘাম হয়, শরীর কাঁপে, ঠোঁট এ সিনসিনে অনুভুত হয়, মাথা ঘুরে, ঘুম আসে, ক্লান্তিতে শরীর ভেংগে আসে তখন সুগার মেপে যদি ৪ বা এর কম হয় সেটাই হাইপো ৷ তখন রোজা ভেংগে ফেলতে হবে।
৫) ইফতার ও সেহরির সময় প্রচুর পানি, পানীয়, ডাল, বাদাম, ২ টা খেজুর, শশা, সবজি, পেয়ারা, ফলের সালাদ খেতে পারবেন৷ কখনও মিস্টি, শরবত, ভাজা পোড়া খাবেন না, তাতে সুগার বেড়ে হাইপার হয়ে যাবে।
৬) ইফতার এর ১ ঘন্টা পর হাটবেন ১ ঘন্টা বা এক্সারসাইজ করবেন।
৭) যারা ইন্সুলিন নেন তারা ইফতার এ হাই ডোজ ও সেহরির সময় কম ডোজ নিবেন। সুগার চেক করে সেইভাবে এডজাস্ট করবেন।
৮) অল্প অল্প খাবার, সুষম খাদ্য, ও প্রচুত্র পানি খেলে সব গুলি রোজা আপনি রাখতে পারবেন।
রামাদান মাসের সিয়াম সাধনা মানুষের আত্মিক ও শরীর এর জন্য খুব ই উপকারী। খাবার খাওয়ার ৮ ঘন্টা পর লিভার, কিডনি ও মাসলে যে গ্লাইকোজেন জমা থাকে তা ভাংগা শুরু হয়, এর পর ৬/৭ ঘন্টা ফ্যাট ভাংগা শুরু হয়৷ তাই, এই মাসে সুষম খাদ্য খেয়ে রোজা রাখলে ৮/১২ কেজি ওয়েট কমানো যায়।
(Collected)