যে গুণাহ্ এরকম হয় যে, যার সাথে বান্দার কোনো সম্পর্ক নেই, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'য়ালার হক রয়েছে যে, তিনি নাফরমানী করার জন্য শাস্তি দিবেন, এ ধরনের সমস্ত গুণাহই তওবার দ্বারা মাফ হয়ে যেতে পারে। এমনকি কুফর ও শিরকের মতো গুণাহও সঠিক তওবা দ্বারা মাফ হয়ে যায়। এ সকল গুণাহকে "হুকূকুল্লাহ্ তথা আল্লাহর হক" বলা হয়। কিন্তু যে সকল গুণাহ্ এ রকম যে, যার সাথে কোনো বান্দার সম্পর্ক রয়েছে, যেমন এতিমের সম্পদ খেয়ে নিলো, কারো প্রতি অত্যাচার করলো বা অপবাদ আরোপ করলো, এ সকল গুণাহকে "হুকূকুল ইবাদ" তথা বান্দার হক বলা হয়। এ জাতীয় গুণাহ্ শুধুমাত্র তওবার দ্বারা মাফ হয়ে যায় না। বরং সেগুলোর ক্ষমার জন্য আবশ্যক এই যে, প্রথমে সে ব্যক্তির হক আদায় করতে হবে কিংবা তার কাছ থেকে ক্ষমা করিয়ে নিতে হবে। এরপর আল্লাহ্ তা'য়ালার দরবারে তওবা করলেই কেবল ক্ষমার আশা করা যেতে পারে।