না! কেউ যদি সাপের ডিম খেয়ে ফেলে, তবে বিজ্ঞান বলছে - এতে কোনো সমস্যাই হবে না! তবে এর জন্য সাপের ডিমটাকে সঠিকভাবে ভেজে নিতে হবে । বস্তুত হাঁস মুরগির ডিম খাওয়া আর সাপের ডিম খাওয়ার মধ্যে তেমন কোন তফাৎ নেই!!
সাপের ডিমেও হাঁস মুরগির ডিমের মতো উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং নিউট্রিশনস আছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হাঁস মুরগির ডিমের মতো সাপের ডিম ও ব্রেকফাস্ট এবং অন্যান্য খাবার খাওয়া হয়।
সাপের ডিম কি বিষাক্ত?
এর উত্তর হচ্ছে না! তবে যদি আপনি এটাকে ভালোভাবে রান্না করে না খান তবে এটা আপনার পেটে কিছু সমস্যা করতে পারে যেমনটা হাঁস মুরগির ডিমের ক্ষেত্রেও হতে পারে। এমনকি বিষাক্ত সাপের ডিমও কিন্তু বিষাক্ত নয়!
যদি আপনি একটা বিষাক্ত সাপের ডিম ভালোভাবে রান্না করে খান তবে সেটা আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি এবং নিউট্রিশন সরবরাহ করবে।
এ তো গেলো বিজ্ঞানের কথা। এবার দেখি ইসলামি শরীয়ত কি বলে?
যেসব প্রাণী হত্যা করতে শরিয়ত নিদের্শ দিয়েছে বা যেসব প্রাণী হত্যা করতে নিষেধ করেছে, তা খাওয়া হারাম। যেমন- ইঁদুর, সাপ, টিকটিকি, বিচ্ছু, কাক, চিল ইত্যাদি। কারণ, হাদিসে এগুলোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ইসলামকর্তৃক নিষিদ্ধ প্রাণীও হারাম; যেমন- হুদহুদ, দোয়েল, ব্যঙ, পিঁপড়া ও মৌমাছি ইত্যাদি।
সুতরাং ইসলামি শরীয়ত অনুসারে যেহেতু সাপ খাওয়া হালাল নয়, বরং সরাসরি হারাম, সুতরাং সাপের ডিম খাওয়াও হারাম।