হজ্জ্বের সময় ইয়ামুন নহরে চারটি কাজ করা হয়। যথা, রমী, নহর, হলক বা কছর এবং তাওয়াফে যিয়ারত।এ চার কাজে ধারাবাহিকতাও এটাই।প্রথমে রমী করবে। তারপর নহর করবে। তারপর হলক করবে। তারপর তাওয়াফে যিয়ারত করবে।রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হজ্জের আমল দ্বারা এমনটিই প্রমাণিত।
ﺪﻨﻋ ﻞﻳﻮﻄﻟﺍ ﺮﺑﺎﺟ ﺚﻳﺪﺣ ﻰﻓ ﺎﻤﻛ ،ﺞﺤﻟﺍ ﺏﺎﺘﻛ ﻰﻓ ،ﻪﺤﻴﺤﺻ ﻰﻓ ﻢﻠﺴﻣ ﻪﻴﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ ﻰﻠﺻ ﻰﺒﻨﻟﺍ ﺔﺠﺣ ﺏﺎﺑ ﺭﻮﻣﻷﺍ ﺮﻛﺫ ﻪﻴﻔﻓ ،2950 -ﻢﻗﺭ ﻢﻠﺳﻭ ﻖﻠﺤﻟﺍ ﺮﻛﺫﻭ ،ﻖﻠﺤﻟﺍ ﻯﻮﺳ ﺔﺛﻼﺜﻟﺍ ﻪﺤﻴﺤﺻ ﻰﻓ ﻢﻠﺴﻣ ﺪﻨﻋ ﺲﻧﺃ ﺚﻳﺪﺣ ﻰﻓ ﻥﺃ ﻥﺎﻴﺑ ﺏﺎﺑ ،ﺞﺤﻟﺍ ﺏﺎﺘﻛ ﻰﻓ ﻢﺛ ﻰﻣﺮﻳ ﻥﺃ ﺮﺤﻨﻟﺍ ﻡﻮﻳ ﺔﻨﺴﻟﺍ 3152-ﻢﻗﺭ ،ﻖﻠﺤﻳ ﻢﺛ ﺮﺤﻨﻳ)
ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মতে প্রথম তিনটির উপরোক্ত তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। আগপর হয়ে গেলে দম ওয়াজিব হবে।ইমাম আবূ ইউসুফ রহঃ এবং ইমাম মুহাম্মদ রহঃ সহ জমহুরদের মতে তারতীব ওয়াজিব নয়। সুতরাং আগপর হয়ে গেলে দম ওয়াজিব হবে না।
জমহুরদের দলীল বুখারী শরীফের উপরোক্ত হাদীস।যেখানে রমী করার আগে কুরবানী করা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে নবীজী উত্তর দিয়েছেন “রমী কর, কোনো সমস্যা নেই"।হাদীসের শেষে রাবী আরো পরিস্কার শব্দেই বলে দিলেন যে,
ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ُّﻲِﺒَّﻨﻟﺍ َﻞِﺌُﺳ ﺎَﻤَﻓ :َﻝﺎَﻗ ﺎَّﻟِﺇ َﺮِّﺧُﺃ َﻻَﻭ َﻡِّﺪُﻗ ٍﺀْﻲَﺷ ْﻦَﻋ َﻢَّﻠَﺳَﻭ »َﺝَﺮَﺣ َﻻَﻭ ْﻞَﻌْﻓﺍ »
‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন পূর্বে বা পরে করা যে কোন কাজ সম্পর্কেই জিজ্ঞাসিত হচ্ছিলেন, তিনি এ কথাই বলেছিলেনঃ কর, কোন ক্ষতি নেই।
ইমাম আবূ হানীফা রহঃ এর মতের দলীল হল, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ এর ফাতওয়া। যা ইবনে আবী শাইবা রহঃ নকল করেছেন:
:َﻝﺎَﻗ ٍﺱﺎَّﺒَﻋ ِﻦْﺑﺍ ِﻦَﻋ»ﺎًﺌْﻴَﺷ َﻡَّﺪَﻗ ْﻦَﻣ
ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হজ্জের মাঝে কোন রুকন আগপিছ করে তাহলে এ কারণে দম দিতে হবে।(হাদীস
নং-১৪৯৫৪,৫৮) এ বর্ণনায় ইবরাহীম বিন মুহাজির নামে একজন রাবী আছেন।যাকে মুহাদ্দিসগণের মাঝে কেউ কেউ জঈফ বলেছেন।তবে অনেক মুহাদ্দিসগণই তাকে তাসদীক বা তার মাঝে কোন সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন।ইমাম সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই।