না! ইসালামী শরীয়ত অনুযায়ী ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস পালন করা জায়েয নেই। কারণ, এতে সম্পূর্ণই খৃষ্টানদের অনুকরণ করা হয়। কেন হারাম তা পুরোপুরিভাবে দেখতে আমার এই লেখাটি পড়ুন। ধন্যবাদ।
#ভালোবাসা_হারাম!
আজ ১৪ ই ফেব্রুয়ারী কথিত ভালোবাসা দিবস নামে বিশ্ব বেহায়া দিবসে "ভালোবাসা" #হারাম। ভালোবাসা প্রকাশ করা হারাম। এমনকি স্বামী তাঁর স্ত্রীর প্রতি বা স্ত্রী তাঁর স্বামীর প্রতিও ভালোবাসা প্রকাশ করা জায়েজ নয়। কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি মনোমালিন্য হয়, তবে স্বামী বা স্ত্রীর মান ভাঙানোর জন্য আজকের এই কথিত ভালোবাসা দিবসকে বেছে নেয়া জায়েজ নেই। আজকের আগের দিন বা পরের দিন রাগ ভাঙাবে। বরং কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি আগে থেকেই মনোমালিন্য হয়ে থাকে, তবে আজকের দিনে রাগ প্রকাশ করা, ঘৃণা প্রকাশ করা, অসন্তোষ প্রকাশ করা উত্তম কাজ বলে বিবেচিত হবে। বরং স্বামী যদি স্বীয় স্ত্রীকে শরীয়ত সম্মত কোনো কারণে শাসন করার কথা ভেবে থাকেন, তবে তার জন্য আজকের এই ১৪ ই ফেব্রুয়ারী কথিত ভালোবাসা দিবসের নোংরামির ও বেহায়াপনার প্রতি অনৈক্য, অনাস্থা ও অসন্তোষ প্রকাশের লক্ষ্যে এই দিনটাকেই বেছে নেয়া আবশ্যক। আর স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য না হয়ে থাকলেও আজকের এই কথিত ভালোবাসা দিবস নামে বিশ্ব বেহায়া দিবসে ইহুদী-খৃস্টান ও তদীয় দালাল'দের ও পা'চাটা অনুগত অনুচরদের বিশ্ব বেহায়াপনার বিরোধিতা করণের লক্ষ্যে ইচ্ছেকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের মধ্যে কৃত্রিম ক্ষোভ প্রকাশ করা (আজকের জন্য) আফজালুল আ'মাল ( অতি উত্তম কাজ) হিসেবে বিবেচিত হবে।
আজকের এই কথিত ভালোবাসা দিবসে বাবা-মা তদ্বীয় সন্তান-সন্ততির প্রতি, সন্তান-সন্ততি তদ্বীয় বাবা-মায়ের প্রতি, ভাই-বোন পরস্পরের প্রতি, দাদা, নানা, দাদী, নানী তদ্বীয় নাতি-নাতনীদের প্রতি বা নাতি-নাতনি তাদের দাদা, নানা, দাদী, নানীদের প্রতি বা একজন অন্যজনের প্রতিও ভালোবাসা প্রকাশ করবে না। ভালোবাসা যা আছে, তা অন্তরেই থাকুক। তা প্রকাশ করার দরকার নেই। আর বিশেষ করে আজকের এই কথিত ভালোবাসা দিবসকে উপলক্ষ করে তা প্রকাশ করা কারও জন্যই জায়েজ নয়।
দলীলঃ- ْمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُم
অর্থাৎ - "যে ব্যক্তি কোনো দল বা সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে, সে তাদেরই দলভূক্ত হিসেবে গণ্য হবে।"
ফতোয়াঃ- মুফতী মুহাম্মাদ আবদুল হাই।
তারিখঃ- ১৪/ ২/ ২০২২ ইং।
টেলিটক অফিস, গুলশান, ঢাকা।