স্কুল কলেজের ছুটিতে ছাত্ররা নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারে -
♦ সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে সময়টাকে বেশী করে কাজে লাগাতে পারে।
♦ যাঁরা আগে থেকেই সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে তাঁরা এ সময়টাকে গণীমত মনে করে অল্প অল্প করে কুরআন মাজীদ হিফজ করতে পারে। অতীতে বিশেষ করে করোনাকালীন লকডাউনে এমন কিছু সৌভাগ্যবান ছাত্রছাত্রীদের খবর আমাদের কাছে এসেছে, যাঁরা লকডাউনের সময়টুকু কাজে লাগিয়ে পূর্ণ কুরআন মাজীদ হিফজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন। আর কিছু ছাত্রছাত্রী এমন পাওয়া গেছে, যারা বেশীরভাগ কুরআন মাজীদ হিফজ সম্পন্ন করেছেন। সুতরাং পরীক্ষার বন্ধের এ সময়টুকু যারা কুরআন মাজীদ সহীহ শুদ্ধ করে পড়তে পারে, তাঁরা এ সময়টাতে কুরআন মাজীদ হিফজের পেছনে ব্যয় করতে পারে। আর একজন কুরআনে হাফিজের মর্যাদা আল্লাহ্ তা'য়ালার দরবারে কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
♦ ছাত্ররা পরীক্ষার বন্ধের এ সময়টাকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে পারে। যেমন তাবলীগে ৩ দিন, ১৫ দিন বা এক চিল্লার উদ্দেশ্যে বের হতে পারে। এভাবে অনেক ছাত্র দ্বীনের বুঝ পেয়েছে। আল্লাহর রাস্তায় চলে এসেছে। ছাত্রীরাও মাস্তুরাতের জামাতে (মহিলাদের বিশেষ জামাত) বের হতে পারে। এতে তাঁদেরও জীবনের মোর দ্বীনের পথে আসতে পারে। এর দৃষ্টান্ত অনেক।
♦ হক্কানী কোনো আল্লাহ্ ওয়ালা পীর-বুযুর্গ মাশায়েখের সোহবত গ্রহণ করতে পারে। এতে জীবনের আমূল-পরিবর্তন সাধিত হবে ইংশা আল্লাহ্। কেননা, হক্কানী পীর মাশায়েখগণ এখনও আছন। হারিয়ে যান নি। প্রয়োজন শুধু ভণ্ডদের সয়লাব থেকে তাঁদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করা। এজন্য সর্বপ্রথম আল্লাহ্ তা'য়ালার দরবারে রোনাজারি করা, কান্নাকাটি করা। অতীতে এমন বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, অধিক পরিমাণে কান্নাকাটির ফলে আল্লাহ্ তা'য়ালা তাঁর অন্তর সাফকারী একজন হক্কানী পীর মাশায়েখের সন্ধান দিয়েছেন। এছাড়া এর জন্য অবশ্যই হক্কানী কোনো আলেমের সাহায্য গ্রহণ করা উচিত।
♦ বিভিন্ন জায়গায় আরবী ভাষা শিক্ষার বেশ কিছু কোর্স চালু রয়েছে, খোঁজ খবর নিয়ে এ সময়টাতে সংক্ষেপে বা ধীরে ধীরে আরবী ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করা।
♦ এ সময়টাকে ফেসবুক ইন্টারনেটের পেছনে ব্যয় না করে পাঠ্যবই ছাড়াও গল্প বা উপন্যাসের দিকে না গিয়ে অন্যান্য শিক্ষামূলক গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করে বেশী বেশী আউট নলেজ অর্জন করা। বিশেষ করে আল্লাহ্ ওয়ালা বুজুর্গদের জীবনীগ্রন্থ অধ্যয়ন করা, এছাড়া বিশেষ করে দ্বীনি মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কিত বাংলায় লিখিত বইগুলো অধ্যয়ন করা, আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে লিখিত শরয়ী বিধান সম্বলিত বইগুলো অধ্যয়ন করা। তাহলে নতুন নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে শরীয়তের বিধান জানা যাবে।
♦ নিজের পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হয় এমন কোনো কোর্সও সম্পন্ন করা যেতে পারে।
♥ না! গুনাহের কাজে বাবা-মায়ের আনুগত্য করা যাবে না। তবে তাদের সাথে রাগ-গোস্বা ইত্যাদিও করা যাবে না। সুন্দর ভাষায় তাদেরকে বোঝাতে হবে। তারা বুঝলে ভালো আলহামদুলিল্লাহ্, না বুঝলে সুন্দর ভাবে এভয়েড করতে হবে। কিন্তু তাদের সাথে কঠোরতা বা উচ্চবাচ্য করা উচিত নয়।