কুরআনে কারীমে ঈমানদার গোনাহগারের জাহান্নাম থেকে মুক্তির বিষয়টি স্পষ্ট শব্দে না আসলেও ইঙ্গিতবহ শব্দে এসেছে। যেমন:
ْﻢُﻬَﻟ ِﺭﺎَّﻨﻟﺍ ﻲِﻔَﻓ ﺍﻮُﻘَﺷ َﻦﻳِﺬَّﻟﺍ ﺎَّﻣَﺄَﻓ ٌﻖﻴِﻬَﺷَﻭ ٌﺮﻴِﻓَﺯ ﺎَﻬﻴِﻓ]١١:١٠٦ ] ُﺕﺍَﻭﺎَﻤَّﺴﻟﺍ ِﺖَﻣﺍَﺩ ﺎَﻣ ﺎَﻬﻴِﻓ َﻦﻳِﺪِﻟﺎَﺧَﻚَّﺑَﺭ َّﻥِﺇ ۚ َﻚُّﺑَﺭ َﺀﺎَﺷ ﺎَﻣ ﺎَّﻟِﺇ ُﺽْﺭَﺄْﻟﺍَﻭ ُﺪﻳِﺮُﻳ ﺎَﻤِّﻟ ٌﻝﺎَّﻌَﻓ]١١:١٠٧ ]
অতএব যারা হতভাগ্য তারা দোযখে যাবে, সেখানে তারা আর্তনাদ ও চিৎকার করতে থাকবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা।নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন।[সূরা হুদ-১০৬-১০৭]
দেখুন এ আয়াতে জাহান্নামীদের বিষয়ে বলা হচ্ছে যে, তারা জাহান্নামে দীর্ঘদিন থাকবে। তবে আল্লাহ তাআলা যখন ভিন্ন কিছু তথা তাদের মুক্তির ইচ্ছা করবেন তখন তিনি যা ইচ্ছে করতে পারেন। এর মানে জাহান্নামীরা আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তিও পেতে পারে।এ আয়াতের তাফসীরে জাহহাক রহঃ, ক্বাতাদা রহঃ, ইবনে আব্বাস রাঃ এবং হাসান বসরী রহঃ থেকে বর্ণিত যে, এ আয়াতে যাদের ইচ্ছে জাহান্নাম থেকে আল্লাহ তাআলা বের করবেন বলার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো একত্ববাদে বিশ্বাসী গোনাহগার বান্দাগণ।যাদেরকে আল্লাহ তাআলা সুপারিশকারীদের সুপারিশের ভিত্তিতে জাহান্নাম থেকে বের করবেন।