যদি নিজের ঈমান ও আমল বিনষ্ট না হবার দৃঢ় মনোবল থাকে। তাহলে ডাক্তারী পড়ার জন্য অমুসলিম দেশে যেতে কোন বাঁধা নেই।তবে নাগরিক হবার ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা কাম্য।অমুসলিম দেশে নাগরিকত্ব নেবার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরীঃ
১. মুসলিম রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন সম্ভব না হলে বাধ্য হলে বা প্রয়োজন হলে অমুসলিম দেশে বসবাসের জন্য নাগরিক হতে পারবে।
২. মুসলিম দেশের তুলনায় অমুসলিম দেশকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম মনে করতে পারবে না।
৩. নিজেই ঈমান ও আমল সঠিক ও যথার্থভাবে পূর্ণ করতে পারার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
৪. নিজের আখলাক ও আমল জিন্দেগীর মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্যতা ও শ্রেষ্ঠত্বের দিকে আমলী আহবানের মত মনোবৃত্তি থাকতে হবে।
৫. ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি হবে এমন কোন কাজে জড়িত হতে বাধ্য না হবার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।উপরোক্ত শর্ত পাওয়া গেলে অমুসলিম দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করা জায়েজ আছে।
তবে অমুসলিমদের ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেবার মানসিকতা থাকলে শুধু জায়েজই নয়, বরং সওয়াবেরও অংশীদার হবে।
এক্ষেত্রেও যেখানে মুসলমান বেশি থাকে, সেসব এলাকায় বসবাস করাটাই নিজের ঈমান ও আমলের জন্য অধিক নিরাপদ। তবে শুধুমাত্র নিজের আয়েশ ও আরামের জন্য। অন্যদের উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ ও গর্ব করার মনোবৃত্তিতে এমনিতে অমুসলিম দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।