ছাড়াই আদায় করা জরুরী। এসবকে মোহর হিসেবে গণ্য করতে পারবে না। হ্যাঁ, যদি প্রয়োজনীয় নাফকা ছাড়া অতিরিক্ত কাপড় চোপড় ইত্যাদি দেয়, এবং তা মোহর হিসেবে দিচ্ছে বলে স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণ পোষণ তথা খাবার, কাপড়,ঘর ইত্যাদি বহন করা আবশ্যক।এটিকে ইসলামী ফিক্বহের পরিভাষায় নাফকা বলা হয়। এসব বস্তু স্বামীর উপর মহর স্ত্রীকে জানিয়ে দেয়, তাহলে এসব মূল্যবান সম্পদ হলে এসব মোহর বলে গণ্য হবে যদি মোহর নির্ধারণ করার সময় কোন ধরণের বিষয় দিয়ে মোহর আদায় করবে তা নির্দিষ্ট না করা হয়ে থাকে।আর যদি বিয়ের সময় এক ধরণের বস্তু দিয়ে মোহর আদায়ের কথাটি নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে, তারপর ভিন্ন ধরণের বস্তু প্রদান করে বলে যে, আমি এর দ্বারা মোহর দিচ্ছি, আর স্ত্রী এতে রাজি না হয়, তাহলে এর দ্বারা মোহর আদায় হবে না। কিন্তু যদি স্ত্রী রাজি থাকে তাহলে মোহর আদায় হবে। যেমন বিয়ের সময় নির্দিষ্ট করা ছিল যে, এক কাঠা জমি দিবে মোহর হিসেবে, এখন দিচ্ছে কাপড়। আর সেই কাপড়কে বলছে এটি মোহর হিসেবে আদায় করছি। স্ত্রী যদি এটি মোহর হিসেবে মানতে রাজি না হয়, তাহলে এর দ্বারা মোহর আদায় হবে না। কেবল জমি প্রদান করলেই মোহর আদায় হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। ঠিক একই হুকুম বিয়ের সময় প্রদত্ব সম্পদের। যদি এসবকে মোহর হিসেবে প্রদান করার কথাটি জানিয়ে দেয়া হয় স্ত্রীকে। আর সে এতে রাজি হয় তাহলে মোহর হিসেবেই এসব গণ্য হবে। যদি রাজি না হয়, তাহলে মোহর আদায় হবে না। আর এক্ষেত্রে স্মর্তব্য যে, বিয়ের সময় প্রদত্ব সম্পদ আবশ্যকীয় প্রদান করা যেমন প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় ইত্যাদি মোহর হিসেবে গণ্য করতে পারবে না। অতিরিক্ত কাপড় ও বস্তুই কেবল মোহর হিসেবে শামিল করার সুযোগ রয়েছে।