ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে যে সকল জটিলতা দেখা দেয়:
* হাইপোগ্লাইসেমিয়া:
সাধারণত রক্তে শর্করার পরিমাণ প্রতি লিটার ৩.৯ মিলিমোলস এর নিচে হলে শরীরে কাঁপুনি, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এবং হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় কিন্তু অটোনমিক নিউরোপ্যাথির আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই সতর্কতা লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারেন না। যা পরবর্তীতে হাইপোগ্লাইসেমিক সকে রূপান্তরিত হতে পারে।
* পায়ের আঙ্গুল, পায়ের পাতা অথবা পা হারানো:
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি আক্রান্ত ব্যক্তিদের পায়ের আঙ্গুল এবং পাতার অনুভূতি সাধারণত কম থাকে, তাই ছোটখাটো কাটাও ঘা বা আলসারে পরিণত হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে একটির সংক্রমণ পায়ের হাড়ের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এর জন্য পা বা পায়ের অংশ অপসারণ (অঙ্গচ্ছেদ) প্রয়োজন হতে পারে।
* মূত্রনালীর সংক্রমণ :
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি জন্য মূত্র নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রস্রাব করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করার ক্ষমতা বা প্রস্রাব নির্গমন কারি পেশীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়াও মুত্রাশয় সহ এবং কিডনিতে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে যার ফলে মুত্রনালী সংক্রমণ হতে পারে।
* পোস্টারাল হাইপুটেশন:
সাধারণত অটোনমিক নিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ড এবং রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পোস্টারাল হাইপুটেশন মতো জটিলতা গুলি দেখা দিতে পারে।
* খাদ্য হজমের সমস্যা হতে দেখা যায়৷
* অটোনমিক নিউরোপ্যাথি যৌন অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে এমন স্নায়ুগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এতে করে পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেক্টাল ডিসফাংশন এবং মহিলাদের ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস এবং উত্তেজনা নিয়ে অসুবিধা হতে পারে।