কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা
কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা মাকরুহ। এটিকে নাজায়েজ বলার মত সুস্পষ্ট কোনো হাদিস বা ফতোয়া পাওয়া যায় না। তবে, কিবলা হলো আল্লাহর ঘর এবং এটিকে সম্মান করা আমাদের কর্তব্য। তাই কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।
হাদিসের দৃষ্টিকোণ
কিবলার দিকে পা দিয়ে বসার ব্যাপারে হাদিসে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে, এসব বর্ণনায় কিবলার দিকে পা দিয়ে বসাকে নাজায়েজবলা হয়নি। বরং, এগুলোতে কিবলার দিকে পা দিয়ে বসাকে অসম্মানজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইমাম বুখারি বর্ণনা করেন,
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করবে, কিয়ামতের দিন তাকে এমনভাবে উত্তোলন করা হবে যে— তার থুথু তার দুই চোখের মাঝখানে থাকবে।
এ হাদিসে কেবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। তবে, এই হাদিসের ব্যাখ্যায় অনেক আলেম বলেছেন যে, কেবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করার পাশাপাশি কেবলার দিকে পা দিয়ে বসা, কেবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা করা ইত্যাদি কাজও কেবলার অসম্মান হিসেবে বিবেচিত হয়।
ফিকহের দৃষ্টিকোণ
ইমাম নববী (রহ.) বলেন,
"কেবলার দিকে পা দিয়ে বসা মাকরুহ।"
ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন,
"কেবলার দিকে পা দিয়ে বসা মাকরুহ। কারণ, এটি কেবলার অসম্মান।"
উপসংহার
কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা মাকরুহ। এটিকে নাজায়েজ বলার মত সুস্পষ্ট কোনো হাদিস বা ফতোয়া পাওয়া যায় না। তবে, কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই, এটি থেকে বিরত থাকা উচিত।