ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে, অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করা বা গোপন বিয়ে করা জায়েজ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন,"অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না।" (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১; আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮৩)
অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করার কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, অভিভাবকদের বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু অধিকার রয়েছে। তারা তাদের সন্তানের জন্য উপযুক্ত পাত্রী বা পাত্র নির্বাচন করার অধিকারী। দ্বিতীয়ত, অভিভাবকহীন বিয়েতে কখনো কখনো 'কুফু' (সমতা) রক্ষা হয় না। সে ক্ষেত্রে বংশের অপমান হয়। তৃতীয়ত, অভিভাবকহীন বিয়ে অসামাজিক ও অকৃতজ্ঞতাপূর্ণ কাজ।
তবে কেউ যদি অন্যায় লালসায় তাড়িত হয়ে কমপক্ষে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে করেই ফেলে, তাহলে যদিও শরিয়তের দৃষ্টিতে বিশেষ কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তা সামাজিক ও পারিবারিক দিক থেকে অনুচিত।
পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করার পর আবার পরিবারকে জানিয়ে বিয়ে করা হলে, সেই বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সম্মতি নেওয়া এবং তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নত করা উচিত।
পরিশেষে, পরিবারের সাথে পরামর্শ করে এবং তাদের সম্মতি নিয়ে বিয়ে করাই উত্তম।