তুলসীর অনেক ঔষুধী গুন রয়েছে, প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ ঘরোয়া চিকিৎসায় তুলসীর ব্যবহার করে আসছে। তুলসী বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
*তুলসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
*তুলসী পাতার রস ও মধু একত্রে খেলে ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত যেকোনো সমস্যায় ভালো ফল পাওয়া যায়। জ্বর দ্রুত ভাল হয়। অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে তুলসী পাতা খুবই কার্যকর।
* তুলসী পাতার রস কৃমি ও বায়ুনাশক। পেট ব্যাথায় ও কার্যকর।
* তুলসী পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সে পানিতে গড়গড়া করলে মুখ ও গলার রোগজীবাণু মরে, শ্লেষ্মা দূর হয় ও মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।
*তুলসী পাতা চায়ের সাথে খেলে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।
* মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী।
*রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করতেও এই পাতার রয়েছে দারুণ কাজ করে।
*চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে ওই পানি দিয়ে সকালবেলা চোখ ধুলে উপকার পাওয়া যায়।
*সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বাড়বে।
*দাঁতের মাড়ি মজবুত করে এবং মুখের আলসার প্রশমিত করে।
*ত্বকের জন্যও খুব উপকারি গায়ের রং উন্নত করে,চুলকে মজবুত করে,মুখের বলিরেখা ও দাগ দূর করে এবং ছত্রাক বিরোধী হওয়ায় খুশকি দূর করে।
*পোকামাকড় দূর করে। শুকনো তুলসী পাতা চাল,ডাল ইত্যাদি শস্যে জাতীয় জিনিষের মাঝে রাখলে পোকায় ধরে না। আলমারিতেও শুকনো তুলসী পাতার পোটলা করে রাখা যায়।
*পেট খারাপ,গ্যাস্ট্রিক এমনকি আলসারের বিরুদ্ধেও এই পাতা বেশ দারুণ কার্যকর।
*তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। এই রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান টিউমারের কোষ মেরে ফেলে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
*রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুলসী পাতার রয়েছে দারুণ ভূমিকা। পাশাপাশি এটি রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকিও থাকে না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমায়।।
*কোনো অপারেশন কিংবা কোথাও হাত,পা বা কোনো অঙ্গ কেটে গেলে সেই ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে ক্ষত দ্রুত শুকায়।
এছাড়াও আরো অনেক গুন রয়েছে।