সূরা জ্বীন কুরআনুল কারিমের ৭২তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ২৮। সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে এই সূরার শুরুতে জ্বিনদের উল্লেখের কারণে।
সূরা জ্বীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এতে জ্বিনদের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। জ্বিনরা ছিল আল্লাহর অবাধ্য এবং তারা মানুষের ক্ষতি করত। কিন্তু তারা যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কুরআন শুনে, তখন তারা ইসলাম গ্রহণ করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।
সূরা জ্বীন-এর ফজিলত অনেক। এর মধ্যে রয়েছে:
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে জ্বিনদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে মানুষের মনে সাহস ও মনোবল বৃদ্ধি পায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে মানুষের মনে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।
সূরা জ্বীন পড়ার কিছু নির্দিষ্ট ফজিলত হল:
-
রাতে সূরা জ্বীন পড়ার ফলে শয়তান ও জ্বিনদের আক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে মানুষের মনে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস ও সাহস বৃদ্ধি পায়।
-
সূরা জ্বীন পড়ার ফলে মানুষের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি ও সফলতা আসে।
সূরা জ্বীন পড়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে রাতে পড়ার ফজিলত বেশি। সূরা জ্বীন পড়ার সময় ভালোভাবে অর্থ বুঝে পড়া উচিত।
সূরা জ্বীন-এর ফজিলত লাভের জন্য এর নিয়মিত পাঠ করা উচিত। সূরা জ্বীন পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর রহমত ও করুণা লাভ করতে পারি।