না, বিবাহের কোন ক্ষতি হবে না, স্ত্রী স্বামীর উপর হারাম হবে না। কোন কাফফারাও ওয়াজিব হবে না। তবে অবশ্যই তওবা-ইসতিগফার করতে হবে। আর কিছু সাদাকা করলে ভাল হবে।
তদুপরি স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যদি দুধ বেরিয়ে মুখে চলে আসে তাহলে সে দুধ গলায় বা “খাদ্যনালী”তে যাওয়ার পূর্বেই ফেলে দিতে হবে, যেহেতু স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম।
তাই একাজ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।
কারণ, দুধ পানের বয়স সীমাতে দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পর দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক হয় না, ঐ মহিলাও হারাম বা তালাক হয়না।
তাই স্বীয় স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হয় না, তালাকও হয় না।
কিন্তু দুধ পানের বয়স সীমার পর কোন মহিলার এমনকি নিজ স্ত্রীর স্তনের দুধ পান করা হারাম ও মারাত্মক গোনাহের কাজ।
তবে দুধ পানের বয়স সীমার ভেতরে যেসব নারীর দুধ পান করা হয়, জন্মধাত্রী মা না হলেও বিবাহ হারাম হওয়ার ব্যাপারে জননীর পর্যায়ভূক্ত এবং তাদের সাথে বিয়ে হারাম।
অল্প দুধ পান করুক বা বেশী, একবার পান করুক বা একাধিকবার, সর্ববস্থায় তারা হারাম হয়ে যায়। ফিকাহবিদগণের পরিভাষায় একে “হুরমতে রেযাআত”বলা হয়।
তবে এতটুকু স্মরণ রাখা জরুরী যে, দুধ পানের বয়স সীমাতেই কেবল দুধ পান করলে এই “হুরমতে রেযাআত” কার্যকারী হবে।
বিস্তারিত দেখে নিন এখানে