মানব জিনোম কোড আবিষ্কৃত হয় ২০০৩ সালে। সেই বছর, আন্তর্জাতিক জিনোম সিকোয়েন্সিং কনসোর্টিয়াম (আইজিএসসি) একটি বিশাল গবেষণার মাধ্যমে মানব জিনোমের সম্পূর্ণ অনুক্রম প্রকাশ করে। এই আবিষ্কারটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল, এবং এটি আমাদেরকে মানুষের স্বাস্থ্য এবং রোগ সম্পর্কে নতুন জিনিস শিখতে সাহায্য করেছে।
আইজিএসসি-এর গবেষণায় প্রায় ১০০টি দেশের ১০০০ জনেরও বেশি মানুষের জিনোম বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এই বিশ্লেষণের ফলে জানা যায় যে, মানব জিনোম প্রায় ৩ বিলিয়ন বেস জোড়া দিয়ে তৈরি, যাতে প্রায় ২৫,০০০ জিন রয়েছে। এই জিনগুলি আমাদের শরীরের কোষগুলির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
মানব জিনোম কোড আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এই আবিষ্কারটি আমাদেরকে নতুন ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, এই আবিষ্কারটি আমাদেরকে মানুষের স্বাস্থ্য এবং রোগ সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
মানব জিনোম কোড আবিষ্কারের জন্য ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক জিনোম সিকোয়েন্সিং কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্বে চারজন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।