নবী করিম (সা.) ইসলামের শুরু যুগে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরে তিনি নারী-পুরুষের কোনো পার্থক্য না করে কবর জিয়ারতের অনুমতি প্রদান করেছেন। যেন মানুষের মাঝে পরকালের ভাবনা সৃষ্টি হয়। এ হাদিসের আলোকে ইসলামিক স্কলাররা মহিলাদের কবর জিয়ারতের অনুমতি দিয়েছেন।
আম্মাজান আয়েশা (রা.) প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হজরত আবু বকর সিদ্দিক ও হজরত ওমর (রা.)-এর কবর জিয়ারত করতেন। তাই মহিলাদের জন্য আপনজনদের কবর জিয়ারত করা জায়েজ আছে।
তবে কবরস্থানের পরিবেশের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। কোনো ধরনের শোরগোল করা যাবে না। যদি কোনো গায়রে মাহরামের কবর হয় (অর্থাৎ যাদের সঙ্গে বিবাহ বৈধ) তাহলে জীবিত অবস্থায় যেভাবে তাদের সঙ্গে পর্দার করা হতো, সেভাবে কবরের সামনে সতর ও পর্দা খেয়াল রাখতে হবে।
আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, যখন রওজা শরিফে আল্লাহর রাসূল ও আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর কবর ছিল আমি স্বাভাবিকভাবেই কবরে যেতাম। যখন হজরত ওমর (রা.) কে দাফন করা হলো (তিনি ছিলেন গায়রে মাহরাম) আমি ভালোভাবে কাপড় পরিধান করে পর্দাসহ জিয়ারত করতাম।