Question

কাযা নামায পড়ার নিয়ম কি?

Answer 1

যদি নামাযের সময় শেষ হয়ে যায় এবং সে জামা'আতের সাথে কাজা নামাজ পড়তে চায়, তাহলে আদা (যথা সময়ে আদায়কৃত) নামাযের ন্যায় আযান ও ইকামত সহ কাযা করবে। (এক্ষেত্রে আজান নিম্ন আওয়াজে দেবে, যাতে যারা জামা'আতে কাযা নামাজ পড়ার জন্য একত্রিত হয়েছে শুধু তারাই আজানের শব্দ শুনতে পায়, অন্যান্য লোকদের এই কাযা নামাজের আজান শোনানোর দরকার নেই।) সুতরাং  জামা'আতের সাথে পড়া ওই নামাজটা যদি জাহরী কিরআতের (শব্দ করে কিরআত পাঠের) নামাজ হয়, তাহলে জাহরী নামাযে শব্দ করে কিরাআত পড়া ওয়াজিব। 

উল্লেখ্য, একাকী কাযা নামাজ আদায় করলে সেক্ষেত্রে আজান দেয়ার দরকার নেই, শুধু ইকামত দিয়ে নামাজ আদায় করবে। 

দ্বিতীয়ত, একাকী কাযা নামাজ আদায় করার সময় জাহরী নামাজে জাহরী কিরআ'ত পাঠ করা ওয়াজিব তো নয় ঠিক, কিন্তু জাহরী কিরআত (শুধু নিজের কানে আওয়াজ পৌঁছে এতটুকু আওয়াজে) পড়া উত্তম।

Answer 2

কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম নিম্নরূপ:

নিয়ত:

নিয়ত করছি আল্লাহর পক্ষ থেকে ফজরের দুই রাকাত কাজা নামাজ আদায় করার।

কিয়াম:

• নিয়ত করার পর তাকবীরে তাহরীমা বলে দুই হাত কাধ পর্যন্ত উঠিয়ে হাতের তালু সামনের দিকে করে "আল্লাহু আকবার" বলতে হবে।
• হাত বুকে নামিয়ে স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে হবে।
• সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
• সূরা ফাতিহার পরে অন্য যেকোনো একটি সূরা পড়তে হবে।

রুকু:

• "সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলে রুকুতে যেতে হবে।
• রুকুতে কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত ঝুঁকিয়ে হাত হাঁটুতে রাখতে হবে।
• "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলতে হবে।
• রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।

সিজদা:

• "আল্লাহু আকবার" বলে সিজদায় যেতে হবে।
• সিজদায় মাথা, কপাল, দুই হাতের তালু, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের বুড়ো আঙুলের মাথা মাটিতে রাখতে হবে।
• "সুবহানা রাব্বিয়াল আলা" তিনবার বলতে হবে।
• সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে বসতে হবে।
• "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলতে হবে।
• আবার "আল্লাহু আকবার" বলে দ্বিতীয় সিজদায় যেতে হবে।
• দ্বিতীয় সিজদায় উপরের বর্ণিত কাজগুলো করতে হবে।

জামাআতে কাজা নামাজ পড়া:

• কাজা নামাজ জামাআতে পড়া যায়।
• জামাআতের ইমামের সাথে সাথে নামাজের সব কাজগুলো করতে হবে।

কাজা নামাজ আদায়ের সময়:

• কাজা নামাজ যেকোনো সময় আদায় করা যায়।
• তবে তাড়াতাড়ি আদায় করা উত্তম।

কাজা নামাজ আদায়ের বিশেষ নিয়ম:

• যদি সফরের সময় কোনো নামাজ কাজা হয়ে থাকে, তবে বাড়িতে ফেরার পরে তার কাজা কসরই আদায় করতে হবে অর্থাৎ চার রাকাতের জায়গায় দুই রাকাত আদায় করতে হবে।
• তেমনি ঘরে কাজা হওয়া নামাজ যদি কেউ সফরে গিয়ে আদায় করে তবে পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।

কাজা নামাজ আদায়ের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মনে রাখা জরুরি:

• কাজা নামাজের জন্য আলাদা কোনো দোয়া নেই।
• কাজা নামাজ যেকোনো সময় আদায় করা যায়।
• তবে তাড়াতাড়ি আদায় করা উত্তম।
• যদি সফরের সময় কোনো নামাজ কাজা হয়ে থাকে, তবে বাড়িতে ফেরার পরে তার কাজা কসরই আদায় করতে হবে।
• তেমনি ঘরে কাজা হওয়া নামাজ যদি কেউ সফরে গিয়ে আদায় করে তবে পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।