340 বার দেখা হয়েছে
"ফতোয়া" বিভাগে করেছেন

2 উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

নামাজ মাকরুহ হওয়ার কারণ মোট চারটি। এগুলো হলো:

  • অর্থহীন বা অনর্থক কথা বলা: নামাজের সময় আল্লাহর সাথে কথা বলা ছাড়া অন্য কোনো কথা বলা মাকরুহ। এতে নামাজের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং ইবাদতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।
  • নামাজে হেঁটে বা দৌড়ে যাওয়া: নামাজের সময় হেঁটে বা দৌড়ে যাওয়া মাকরুহ। এতে নামাজের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘিত হয় এবং নামাজ অসম্পূর্ণ হয়ে যায়।
  • নামাজে কারো সাথে কথা বলা: নামাজের সময় কারো সাথে কথা বলা মাকরুহ। এতে নামাজের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং ইবাদতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।
  • নামাজে অন্য কোনো কাজ করা: নামাজের সময় অন্য কোনো কাজ করা মাকরুহ। এতে নামাজের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘিত হয় এবং নামাজ অসম্পূর্ণ হয়ে যায়।

এছাড়াও, নামাজের কিছু নির্দিষ্ট ভঙ্গিমা বা কাজ মাকরুহ। এগুলো হলো:

  • নামাজে হাত বাঁধার সময় আঙুলগুলোকে স্পর্শ করা।
  • নামাজে মাথা নিচু করে ঝুঁকে পড়া।
  • নামাজে চোখ বন্ধ করা।
  • নামাজে রুকু বা সিজদা করার সময় শরীরকে এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করা।
  • নামাজে দাঁড়ানোর সময় এক পা সামনে বা পেছনে এগিয়ে রাখা।
  • নামাজে সালাম ফিরানোর সময় হাত নাড়ানো।

নামাজ মাকরুহ হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং এগুলো থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে নামাজের মর্যাদা রক্ষা পাবে এবং ইবাদতের পুরোপুরি সওয়াব অর্জন করা যাবে।

করেছেন
নামাজের বাহিরের কোনো কাজের মাধ্যমে নামাজ মাকরূহ হয় না, এখানে প্রশ্ন করা হয়েছে নামাজ মাকরূহ হওয়ার কারণ কয়টি ও কি কি? অর্থ্যাৎ কি কি কারণে নামাজ মাকরূহ হয় শরীয়তের দৃষ্টিতে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো নামাজের ভেতর করলে নামাজ ভাঙবে না, কিন্তু নামাজটা মাকরূহ হবে। সেই কাজগুলোই মূলত নামাজ মাকরূহ হওয়ার কারণ। আবারও বলছি - নামাজের বাহিরের কোনো কাজের কারণে নামাজ মাকরূহ হয় না। আর আপনি নামাজের ভেতরের কিছু মাকরূহের কথা উল্লেখ করলেও মৌলিকভাবে নামাজের যে চারটি মাকরূহের কথা বললেন, সেগুলোর সবগুলোই নামাজের বাহিরের কর্ম। এগুলোর কোনো একটাও যদি নামাজের মধ্যে সংঘটিত হয়, তবে মাকরূহ্ তো দূরের কথা, নামাজই ভেঙে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ। 
1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

নামাজ মাকরূহ হওয়ার কারণ ২২ টি। যথাঃ- 

(১) নামাযরত অবস্থায় শরীর বা কাপড় নিয়ে খেলা করা, তা যদি আমলে কাসীর না হয়। আর যদি আমলে কাসীর হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
(২) সিজদার স্থানের পাথর কনা বা কঙ্কর সরানো। অবশ্য সিজদা করা অসম্ভব হলে এক দুই বার করে সরাতে পারে।
(৩) আঙ্গুল সমূহকে মলে অথবা টেনে ফুটানো।
(৪) কোমরে হাত রাখা।
(৫) ডানে বামে মুখ ফিরানোর দ্বারা যদি সিনা কেবলার দিক থেকে ফিরে যায়, তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি সিনা না ফিরে তাহলে নামায় নষ্ট হবে না, তবে তা মাকরূহ হবে।
(৬) উভয় হাটু খাড়া করে হাত মাটিতে রেখে নিতম্ব এবং পায়ের উপর কুকুরের ন্যায় বসা।
(৭) সিজদায় উভয় হাতের গোছা মাটিতে বিছিয়ে দেয়া।
(৮) হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দেয়া। 
(৯) ফরয নামাযে বিনা ওযরে আসন করে বসা।
(১০) মাটি লেগে যাওয়ার ভয়ে কাপড়ের হেফাজত করা।
(১১) সাদলে সাওর করা। অর্থাৎ, কাপড় মাথা ও কাঁধের উপর রেখে তার উভয় প্রান্ত একত্র না করে ঝুলিয়ে রাখা।
(১২) হাই তোলা । (হাই এবং হাঁচি যথা সম্ভব প্রতিহত করবে।)
(১৩) শরীরের অলসতা দূর করার জন্য দেহকে সটান করা । 
(১৪) চোখ বন্ধ রাখা; বরং দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখা উচিত।
(১৫) চুলকে মাথার উপর ভাজ করে গিরা দিয়ে নামায পড়া। মাথার চুল যদি লম্বা থাকে তাহলে, তা ছেড়ে দেয়া সুন্নত যাতে চুলও সিজদা করতে পারে।
(১৬) খোলা মাথায় নামায পড়া মাকরূহ। তবে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশের নিমিত্তে এরূপ করলে মাকরূহ হবে না।
(১৭) আয়াত ও তাসবীহ সমূহ হাতে গণনা করা। তবে সাহেবাইনের মতে তা মাকরূহ নয় ।
(১৮) শুধু ইমাম সাহেব মসজিদের মেহরাবে এবং সমস্ত লোকের মেহরাবের বাইরে দাঁড়ানো ।
(১৯) ইমাম সাহেব একা উঁচু স্থানে এবং সব মুক্তাদীর নিচে দাঁড়ানো।
(২০) কাতারে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পেছনে একা দাঁড়ানো। তবে যদি সুযোগ না থাকে তাহলে সম্মুখের কাতার থেকে (মাসআলা জানে এমন) একজনকে টেনে এনে নিজের সাথে দাঁড় করাবে।
(২১) মানুষ অথবা জন্তুর ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করা।
(২২) মাথার উপর, সামনে, ডানে অথবা বামে ফটো থাকা অবস্থায় নামায় পড়া মাকরূহ। তবে যদি ছবি পায়ের নিচে কিংবা পেছনে থাকে তাহলে কোন ক্ষতি নেই। অনুরূপভাবে মাথা বিহীন ও প্রাণহীন জিনিসের ফটো থাকাতেও কোন ক্ষতি নেই।

♦ নামাযে সাপ ও বিচ্ছু মেরে ফেলা মাকরূহ নয়।
♦ ইমামের জন্য মসজিদে দাঁড়িয়ে মেহরাবে সিজদা করলে কোন ক্ষতি নেই। 

♦ এমনি ভাবে আলাপরত ব্যক্তির পেছনে, ঝুলন্ত কুরআন শরীফ, তরবারী, জ্বলন্ত মোমবাতি বা বাতিকে সামনে রেখে নামায পড়া মাকরূহ নয়। 

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
28 জানুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
21 ডিসেম্বর, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
2 ফেব্রুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
0 টি উত্তর
6 সেপ্টেম্বর, 2023 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Minka
1 টি উত্তর
31 জানুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Ikramul Tamim
1 টি উত্তর
21 ডিসেম্বর, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
2 ফেব্রুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
8 ডিসেম্বর, 2022 "মতামত" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muhammad Abdul Hay
1 টি উত্তর
8 ডিসেম্বর, 2022 "মতামত" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Muhammad Abdul Hay

34,283 টি প্রশ্ন

33,157 টি উত্তর

1,614 টি মন্তব্য

3,299 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
8 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 8 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 3033
গতকাল ভিজিট : 21117
সর্বমোট ভিজিট : 48021258
  1. Rakiib02

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  2. Md.foysal83

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  3. Sobita

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

  4. Avimani

    5 পয়েন্ট

    1 টি উত্তর

    0 টি গ্রশ্ন

এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
আজ বঙ্গাব্দ৷
...