আমলকী একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। আমলকির উপকারিতা নিম্নরূপ:
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
-
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: আমলকীতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
-
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আমলকীর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
-
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: আমলকীতে থাকা পাচক এনজাইম হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: আমলকীতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
-
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আমলকী খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তাজা আমলকী খাওয়া। তবে আমলকী শুকিয়েও খাওয়া যায়। আমলকী দিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার ও পানীয় তৈরি করা যায়।
আমলকীর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। আমলকীতে থাকা টারটারিক অ্যাসিড পেটে গ্যাস ও অম্বল হতে পারে। তাই পেটে গ্যাস বা অম্বল সমস্যা থাকলে আমলকী খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।