ফজরের নামাজের দোয়ায়ে কুনুত পড়ার হুকুম মুস্তাহাব। হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ফজরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। তবে এটি ওয়াজিব নয়।
হাদিসে এসেছে,
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজে দুই রাকাআত সুন্নাতে দোয়ায়ে কুনুত পড়তেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং 1122)
এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফজরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়া মুস্তাহাব। তবে কেউ যদি এটি না পড়ে তাহলে তার নামাজ হবে না।
ফজরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার সময় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত ওপরে তুলে নেওয়া সুন্নত। দোয়ায়ে কুনুত পড়ার পর তাশাহহুদ পড়ার আগে দুই হাত নামানোর আগে সালাম দেওয়া সুন্নত।
ফজরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার জন্য নিম্নলিখিত দোয়াটি পড়া যেতে পারে:
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে এমন লোকদের মধ্যে পরিচালিত করো যাদেরকে তুমি পরিচালিত করেছো। আমাকে এমন লোকদের মধ্যে নিরাপদ রাখো যাদেরকে তুমি নিরাপদ রেখেছো। আমাকে এমন লোকদের মধ্যে অভিভাবকত্ব দাও যাদেরকে তুমি অভিভাবকত্ব দিয়েছো। আমাকে দান করা জিনিসে বরকত দাও। তুমি যে বিধান দিয়েছো তা থেকে আমাকে রক্ষা করো। নিশ্চয়ই তুমিই বিধানদাতা, তোমার উপর বিধান জারি করা যায় না। যে ব্যক্তিকে তুমি অভিভাবকত্ব দাও সে কখনো লাঞ্ছিত হয় না। আর যে ব্যক্তিকে তুমি শত্রুতা করো সে কখনো সম্মানিত হয় না। হে আমাদের রব! তুমি বরকতপুষ্ট এবং উচ্চ মর্যাদাশীল।
এছাড়াও, অন্য কোন দোয়াও পড়া যেতে পারে। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত দোয়াটি পড়া উত্তম।