মাথাব্যথার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
-
মাইগ্রেন: মাইগ্রেন হল একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা মাথার একপাশে তীব্র, কম্পনশীল ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত। মাইগ্রেনের সাথে বমি বমি ভাব, বমি, আলো এবং শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং অন্ধকারের চারপাশে আলোর ঝলকানি (অরোরা) হতে পারে।
-
টেনশন-টাইপ মাথাব্যথা: টেনশন-টাইপ মাথাব্যথা হল সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথাব্যথা। এগুলি মাথার চারপাশে একটি চাপ বা বাঁধার অনুভূতি হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। টেনশন-টাইপ মাথাব্যথা সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার হয় এবং কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
-
ক্ল্যাস্টার মাথাব্যথা: ক্ল্যাস্টার মাথাব্যথা হল একটি বিরল, তীব্র ব্যথা যা একই দিকে ঘটে। ক্ল্যাস্টার মাথাব্যথা সাধারণত কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয় এবং প্রতিদিন একাধিকবার ঘটতে পারে।
-
বিশ্রামের মাথাব্যথা: বিশ্রামের মাথাব্যথা হল একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা ঘুমের সময় বা ঘুম থেকে উঠার পরে শুরু হয়। বিশ্রামের মাথাব্যথা সাধারণত মাঝারি থেকে তীব্র তীব্রতার হয় এবং কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
-
অন্যান্য কারণ: মাথাব্যথার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
-
ক্যাফিন বা অ্যালকোহলের অপব্যবহার
-
অনিদ্রা
-
মানসিক চাপ
-
চোখের সমস্যা
-
ঘাড়ের ব্যথা
-
মেনিনজাইটিস বা এনসেফালাইটিস
-
ক্যান্সার
-
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাথাব্যথার কারণ নির্ধারণের জন্য, আপনার ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং আপনার চিকিৎসা ইতিহাস পরীক্ষা করবেন। তারা আপনার মাথার পরীক্ষাও করতে পারে। আপনার ডাক্তার যদি মাথাব্যথার কারণ নির্ধারণ করতে না পারেন তবে তারা আরও পরীক্ষা করতে পারেন, যেমন রক্ত পরীক্ষা বা ইমেজিং পরীক্ষা।
মাথাব্যথার চিকিৎসা কারণ অনুসারে পরিবর্তিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, মাথাব্যথার কারণ নির্মূল করা বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অন্যান্য ক্ষেত্রে,ব্যথা উপশম করার জন্য ওষুধ বা অন্যান্য চিকিত্সা প্রয়োজন।
যদি আপনার মাথাব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার মাথাব্যথার কারণ নির্ধারণ করতে এবং উপযুক্ত চিকিত্সা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।