সাধারণত, একজন নারীর বয়স ১২ বছর হলে তার মাসিক শুরু হওয়ার কথা। যদি ১২ বছর বয়স হয়ে যায় এবং এখনও মাসিক না হয়,তাহলে অবশ্যই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়াও, যদি একজন নারীর নিয়মিত মাসিক হওয়ার পর হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত।
মাসিক না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
গর্ভাবস্থা
-
বয়স (মেনোপজের কাছাকাছি হলে)
-
ওজনের পরিবর্তন (অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন)
-
খাওয়ার ব্যাধি
-
স্ট্রেস
-
হরমোনের সমস্যা
-
জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা
-
অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ মাসিক না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করতে পারেন, যেমন:
-
রক্ত পরীক্ষা
-
হরমোনের পরীক্ষা
-
আল্ট্রাসাউন্ড
-
অন্যান্য ইমেজিং পরীক্ষা
পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে, চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।
এখানে মাসিক না হলে কখন পরীক্ষা করা উচিত তার কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের কথা বলা হলো:
-
১২ বছর বয়স হয়ে গেলে মাসিক না হলে
-
নিয়মিত মাসিক হওয়ার পর হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে
-
মাসিক অনিয়মিত হলে
-
মাসিকের সাথে ব্যথা, রক্তপাত বেশি হওয়া বা রক্তের সাথে অন্যান্য উপাদান বের হওয়ার মতো সমস্যা হলে
-
মাসিকের সাথে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা, যেমন মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা ইত্যাদি হলে
যদি আপনি মাসিক না হওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে দেরি না করে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করা উচিত।