যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে না, তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে। এই বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থের জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে। নন-রেডক্স বিক্রিয়ার উদাহরণ হল:
-
প্রশামন বিক্রিয়া: জলীয় দ্রবণে অ্যাসিড ও ক্ষার পরস্পর বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। এই বিক্রিয়ায় অ্যাসিডের হাইড্রোজেন পরমাণু ক্ষারের হাইড্রক্সাইড পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে পানি উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে অ্যাসিডের জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া: দুটি দ্রবণ পরস্পর বিক্রিয়া করে অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। এই বিক্রিয়ায় দুটি দ্রবণের মধ্যে থাকা আয়নগুলো মিলিত হয়ে অধঃক্ষেপ গঠন করে। এক্ষেত্রে আয়নগুলোর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
সমাণুকরণ বিক্রিয়া: একই আণবিক সংকেত বিশিষ্ট কিন্তু ভিন্ন গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট দুটি যৌগ পরস্পর বিক্রিয়া করে একই আণবিক সংকেত বিশিষ্ট কিন্তু ভিন্ন গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট অন্য একটি যৌগ উৎপন্ন করে। এই বিক্রিয়ায় মৌলের পরমাণুগুলোর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
নন-রেডক্স বিক্রিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল:
-
এই বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে না।
-
বিক্রিয়ক পদার্থের জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
এই বিক্রিয়া দ্রুত বা ধীর হতে পারে।
-
এই বিক্রিয়া তাপ, আলো বা তড়িৎ প্রবাহের প্রভাবে ঘটতে পারে।
নন-রেডক্স বিক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রশমন বিক্রিয়া ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধ করা হয়। অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া ব্যবহার করে ধাতু পরিশোধন করা হয়। সমাণুকরণ বিক্রিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ উৎপাদন করা হয়।