ক্রিয়েটিনিন হলো মাংসপেশির ক্রিয়েটিন ফসফেট ভেঙে তৈরি হওয়া একটি বর্জ্য পদার্থ। শরীরে ক্রিয়েটিন ফসফেট শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। যখন পেশিগুলোতে শক্তির প্রয়োজন হয়, তখন ক্রিয়েটিন ফসফেট ভেঙে ATP তৈরি হয়। ATP হলো শরীরের কোষগুলোর প্রধান শক্তির উৎস।
ক্রিয়েটিনিন শরীরে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরি হতে থাকে। তবে এটা পেশীর ভর বা ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। সাধারণত,পুরুষদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ নারীদের চেয়ে বেশি থাকে। কারণ পুরুষদের পেশীর পরিমাণ নারীদের চেয়ে বেশি।
কিডনি শরীর থেকে ক্রিয়েটিনিনকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া কিডনি রোগের একটি লক্ষণ।
রক্তে ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো:
-
পুরুষ: 0.6-1.2 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার
-
নারী: 0.5-1.1 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার
রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা 5.0 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হলে কিডনি ফেইলিউরের সম্ভাবনা থাকে।
ক্রিয়েটিনিন টেস্ট কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা নির্ধারণ করা যায়।