দ্রাব্যতা হল কোনো দ্রাবকে কোনো দ্রবের নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় দ্রবীভূত হওয়ার ক্ষমতা। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় দ্রাবকের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত থাকতে পারে তাকে ওই দ্রাবকে ওই দ্রবের দ্রবণীয়তা বলে। উদাহরণস্বরূপ, 25°C তাপমাত্রায় পানিতে NaCl এর দ্রবণীয়তা 36 গ্রাম/100 গ্রাম পানি। অর্থাৎ, 25°C তাপমাত্রায় 100 গ্রাম পানিতে সর্বোচ্চ 36 গ্রাম NaCl দ্রবীভূত থাকতে পারে।
দ্রবণীয়তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:
-
দ্রাবকের প্রকৃতি: বিভিন্ন দ্রাবকের দ্রবণীয়তা ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পানিতে সাধারণত লবণ, চিনি ইত্যাদি দ্রবণীয়, কিন্তু তেলে সাধারণত লবণ দ্রবণীয় নয়।
-
দ্রবের প্রকৃতি: বিভিন্ন দ্রবের দ্রবণীয়তা ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, NaCl পানিতে খুব বেশি দ্রবণীয়, কিন্তু AgCl পানিতে কম দ্রবণীয়।
-
তাপমাত্রা: তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে অধিকাংশ দ্রবের দ্রবণীয়তা বৃদ্ধি পায়।
-
চাপ: চাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্যাসের দ্রবণীয়তা বৃদ্ধি পায়।
দ্রবণীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, দ্রবণীয়তার উপর ভিত্তি করে লবণ, চিনি ইত্যাদির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। দ্রবণীয়তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়।