শ্বেতসার বা স্টার্চ হল উদ্ভিদের প্রধান শক্তি সঞ্চয়ী পদার্থ। এটি মূলত দুটি পলিস্যাকারাইড, অ্যামাইলোজ এবং অ্যামাইলোপেকটিনের সমন্বয়ে গঠিত। অ্যামাইলোজের অণুগুলো পরস্পর কার্বনের ১-৪ স্থানে সংযুক্ত হয়। এর অণুগুলো শৃঙ্খল অশাখ। আলু, ধান, গম,ভুট্টার শ্বেতসারে ২২% অ্যামাইলোজ থাকে। অ্যামাইলোপেকটিনের অণুগুলো পরস্পর কার্বনের ১-৪ এবং ১-৬ স্থানে সংযুক্ত হয়। এর অণুগুলো শৃঙ্খল শাখাযুক্ত। আলু, ধান, গম, ভুট্টার শ্বেতসারে ৭৮% অ্যামাইলোপেকটিন থাকে।
শ্বেতসারের রাসায়নিক সংকেত হল (C6H10O5)n। এর আণবিক ভর বিভিন্ন রকম হতে পারে। শ্বেতসার সাধারণত ঘনীভূত দানা হিসেবে উদ্ভিদ কোষে বিরাজ করে এবং এদের আকার-আকৃতি বিভিন্ন উদ্ভিদে বিভিন্ন রকম। বীজ, ফল, কন্দ প্রভৃতি সঞ্চয়ী অঙ্গে শ্বেতসার জমা হয়।
শ্বেতসারের প্রধান ব্যবহার হল খাদ্য হিসেবে। শ্বেতসার গ্লুকোজে পরিণত হয়ে জীবদেহে শক্তি ও কার্বন অণু সরবরাহ করে। টাইট্রেশন করার সময় নির্দেশক হিসেবে স্টার্চ ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষাগারে গ্লুকোজ ও অ্যালকোহল তৈরি করার জন্য স্টার্চ ব্যবহার করা হয়। কাগজ শিল্পে স্টার্চ ব্যবহার করা হয়। আঠা প্রস্তুত করার জন্য স্টার্চ ব্যবহৃত হয়।
শ্বেতসারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল:
-
এটি সাদা রঙের, গুঁড়া বা দানাদার আকারে থাকে।
-
এটি পানিতে অদ্রবণীয়।
-
এটি গরম পানিতে ফেটে যায় এবং জেল তৈরি করে।
-
এটি আয়োডিন দ্রবণে গাঢ় নীল বর্ণ ধারণ করে।
শ্বেতসারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎস হল:
-
চাল
-
গম
-
আলু
-
ভুট্টা
-
ডাল
-
বাদাম
-
ফল
-
সবজি
শ্বেতসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।