মাইটোসিস বিভাজন হলো কোষ চক্রের একটি অংশ, যেখানে প্রতিলিপি করা ক্রোমোজোমগুলি দুটি নতুন নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হয়। এই কোষ বিভাজন জিনগতভাবে অভিন্ন কোষের জন্ম হয় যাদের ক্রোমোজোমের মোট সংখ্যা বজায় থাকে।
মাইটোসিস বিভাজনের চারটি ধাপ রয়েছে:
-
প্রোফেজ: এই ধাপে নিউক্লিয়াস এবং ক্রোমোজোমগুলি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রতিটি ক্রোমোজোম দুটি সিস্টার ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয়।
-
মেটাফেজ: এই ধাপে ক্রোমোজোমগুলি স্পিন্ডল অ্যাপারচারে সাজানো হয়। স্পিন্ডল অ্যাপারচার হল কোষের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি জায়গা যেখানে মাইক্রোটিউবিউলগুলি সংযুক্ত হয়।
-
অ্যানাফেজ: এই ধাপে সিস্টার ক্রোমাটিডগুলি একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং স্পিন্ডল অ্যাপারচারের বিপরীত দিকে চলে যায়।
-
টেলোফেজ: এই ধাপে ক্রোমোজোমগুলি দুটি নতুন নিউক্লিয়াসে সংগঠিত হয়। নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি পুনরায় গঠিত হয়।
মাইটোসিস বিভাজনের ফলে একটি মাতৃকোষ থেকে দুটি অপত্যকোষ তৈরি হয়। এই অপত্যকোষগুলি জিনগতভাবে মাতৃকোষের সদৃশ।
মাইটোসিস বিভাজন বিভিন্ন ধরনের কোষে ঘটে, যেমন:
-
প্রাণীকোষ
-
উদ্ভিদকোষ
-
ব্যাকটেরিয়া
-
ছত্রাক
মাইটোসিস বিভাজনের গুরুত্ব:
-
মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলি প্রতিস্থাপিত হয়।
-
মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে জীবের বৃদ্ধি এবং বিকাশ ঘটে।
-
মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে জনন কোষ তৈরি হয়।