নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট আয়তনের দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের পরিমাণ জানা থাকলে তাকে ঐ দ্রবের প্রমাণ দ্রবণ বলে। যেমন– 0.1M Na2CO3 দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ। কারণ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় দ্রবণে কী পরিমাণ Na2CO3 আছে তা জানা যায়।
প্রমাণ দ্রবণ তৈরির জন্য সাধারণত রাসায়নিক পদার্থের বিশুদ্ধতম রূপ ব্যবহার করা হয়। কারণ দ্রবের ঘনত্ব দ্রবের উপাদানের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। তাই দ্রবণ তৈরির সময় দ্রবের উপাদানের পরিমাণ যথাযথভাবে পরিমাপ করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রমাণ দ্রবণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
-
দ্রবণের ঘনত্ব নির্ণয়
-
দ্রবণের মোলারিটি নির্ণয়
-
দ্রবণের অম্লতা-ক্ষারত্ব নির্ণয়
-
দ্রবণের তড়িৎ পরিবাহিতা নির্ণয়
-
রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার নির্ণয়
প্রমাণ দ্রবণের কিছু উদাহরণ হল:
-
0.1M NaOH দ্রবণ
-
0.1M HCl দ্রবণ
-
0.1M KCl দ্রবণ
-
0.1M NaCl দ্রবণ
-
0.1M H2SO4 দ্রবণ
বাংলাদেশে প্রমাণ দ্রবণ তৈরির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (BCIC) দায়ী। BCIC বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ দ্রবণ উৎপাদন করে এবং সেগুলো বাজারজাত করে।