এনজাইম এক প্রকার জৈব অনুঘটক। এটি জীবদেহে বিভিন্ন বিক্রিয়ার হারকে তরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার পর নিজেরা অপরিবর্তিত থাকে। একে জৈব প্রভাবকও বলা হয়।
এনজাইম সাধারণত প্রোটিন দ্বারা গঠিত হয়। তবে, রাইবোজাইম এবং ডিএনএজাইম হল আরএনএ এবং ডিএনএ দ্বারা গঠিত এনজাইম।
এনজাইমের গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে এনজাইমকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন,
-
অ্যাসিড-বেস এনজাইম: এনজাইমগুলির অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় পরিবেশে কার্যকারিতা থাকে।
-
অক্সিডো-বিজারণ এনজাইম: এনজাইমগুলির জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার হারকে বাড়াতে কার্যকারিতা থাকে।
-
ট্রান্সফারেজ এনজাইম: এনজাইমগুলির এক অণু থেকে অন্য অণুতে কার্যকরী গোষ্ঠী স্থানান্তর করতে কার্যকারিতা থাকে।
-
লাইসেজ এনজাইম: এনজাইমগুলির অণুকে ভাঙতে কার্যকারিতা থাকে।
-
লাইগেজ এনজাইম: এনজাইমগুলির দুটি অণুকে একত্রিত করতে কার্যকারিতা থাকে।
এনজাইম জীবদেহের বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলি খাদ্য হজম, শক্তি উৎপাদন, কোষ বৃদ্ধি ও বিভাজন, রোগ প্রতিরোধ ইত্যাদি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এনজাইমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল:
-
খাদ্য শিল্পে: খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধ উন্নত করা ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
-
ঔষধ শিল্পে: ওষুধ তৈরি, ওষুধের কার্যকারিতা উন্নত করা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করা ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
-
কৃষি শিল্পে: সার তৈরি, কীটনাশক তৈরি, জৈব সার তৈরি ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
-
পরিবেশ রক্ষায়: পানি পরিশোধন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।